parbattanews

খাগড়াছড়িতে কোভিড-১৯ এ ঝুঁকিপূর্ণ ২৩ হাজার পরিবারের পাশে ইউএনডিপি

খাগড়াছড়িতে করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও ঝুঁকিপূর্ণ ২৩ হাজার পরিবারের পাশে খাদ্য ও বীজ সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছে জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনডিপি)।

বৃহস্পতিবার(২৩ জুলাই) জেলার দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নে শান্তিপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সলিডারিটি প্যাক বিতরণের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ ও ভারত প্রত্যাগত ও অভ্যন্তরীণ উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। তিনি ১২১০ ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের হাতে খাদ্য ও বীজ তুলে দেন।

পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন স্ট্রেনদেনিং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইন চিটাগং হিল ট্রাক্টস (এসআইডি-সিএইচটি) প্রকল্পের আওতায় ইউএনডিপি দাতা সংস্থা ডানিডা ও ইউএসএআইডি এর আর্থিক সহযোগিতায় আজ থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এসময় তিনি স্থানীয়দের প্রত্যেকই জমি চাষের অনুরোধ করেন এবং মাস্ক ব্যবহার, স্বাস্থ্যবিধি পালন ও সামাজিক দূরত্ব মেনে করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে নিজে এবং নিজের পরিবারের বাঁচানোর অনুরোধ জানান।

এসময় দীঘিনালা উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কাশেম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য শতরূপা চাকমা, এডভোকেট আশুতোষ চাকমা ও ইউএনডিপির এ্যাক্টিভেটিং ভিলেজ কোর্ট প্রজেক্টের ফ্যাসিলেটেটর সুভাস চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

একই দিন দুপুরে জেলার গুইমারা উপজেলায় গুইমারা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ৬১০ ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের মাঝে সলিডারিটি প্যাক বিতরণ করেন।

এসআইডি-সিএইচটি ইউএনডিপি খাগড়াছড়ি জেলা ম্যানেজার প্রিয়তর চাকমা জানান বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) থেকে খাদ্য ও বীজ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

পর্যায়ক্রমে তারা দীঘিনালা উপজেলায় ৩০২৪, মাটিরাঙ্গায় ২৫৯৯, লক্ষিছড়ি উপজেলায় ১৭৬১, রামগড় উপজেলায় ১৫৯৬, গুইমারা উপজেলায় ২৬৩৬, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় ৩৪৫২, মহালছড়ি উপজেলায় ৩৪০৫ পরিবার, পানছড়ি উপজেলায় ২৯৬২ পরিবার এবং মানিকছড়ি উপজেলায় ১৫৬৫ ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারকে আগামী ১৮ আগস্ট এর মধ্যে বিতরণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোর জন্য ১০ প্রকারের দ্রব্যাদি বিতরণ করা হয় এবং বিতরণকৃত প্রতিটি প্যাকের মধ্যে রয়েছে -চাল ১৫ কেজি, ডাল ২ কেজি, লবণ ১ কেজি, সয়াবিন তেল ১ লিটার, পেঁয়াজ ১ কেজি, আলু ৫ কেজি, সাবান ২টি, সবজি বীজ ৭ প্যাকেট (করলা বীজ – ১০ গ্রাম, ঢ়েড়স বীজ ১০ গ্রাম, মিষ্টি কুমড়া বীজ ১০ গ্রাম, শসা বীজ ১০ গ্রাম, লাউ বীজ ১০ গ্রাম, পুঁইশাক বীজ ১০ গ্রাম, চালকুমড়া বীজ ১০ গ্রাম করে), মাস্ক ৪ পিস ও সচেতনতাবৃদ্ধির লক্ষ্যে করোনা বিষয়ক ১টি ও বন্যপ্রাণী ও বন সংরক্ষণ বিষয়ক ১টি করে পোস্টার দেওয়া হবে।

Exit mobile version