parbattanews

খাগড়াছড়িতে গৃহবধূ শিরিনার ঘাতক স্বামী নিজাম উদ্দিনের দুই দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়িতে আলোচিত গৃহবধূ শিরিনার ঘাতক স্বামী নিজাম উদ্দিনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত। অপর দিকে হত্যাকান্ডের প্রায় চার মাস পর গৃহবধূ শিরিনা আক্তারের ঘাতক স্বামী নিজাম উদ্দিনের ফের দুই দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মিস কেস করে বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ রোকসানা পারভিনের আদালতে  আলোচিত গৃহবধূ শিরিনা ঘাতক স্বামী নিজাম উদ্দিনের জামিন আবেদন করা হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট জসিম উদ্দিন মজুমদার জানান, রিমান্ড আবেদন থাকায় আদালত আসামীর  নামঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত এসআই মো. ইকবাল হোসেন ভূইয়া জানান, আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার দুই দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

গত বছরের ৩ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় গৃহবধূ শিরিনা আক্তার শিরিন  খুন হয়।

শিরিনের পিতা মো. তাজুল ইসলামের অভিযোগ, মাদকাসক্ত স্বামীর পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় তার মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। স্ত্রীকে হত্যার পর এক বছরের শিশু কন্যাকে শ^শুড় বাড়ীতে রেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ঘাতক স্বামী নিজাম উদ্দিনকে আটক করে পুলিশে পরিবারের সদস্যরা।

৪ অক্টোবর শিরিনা আক্তার শিরিনের পিতা মো. তাজুল ইসলাম খাগড়াছড়ি সদর থানায় (মামলা নং ০৩,তারিখ-০৪-১০-২০১৮ ইং ধারা ৩০২ দ:বি) দায়ের করে। শিরিনা আক্তার শিরিন হত্যার বিচার দাবীতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়।

কিন্তু দীর্ঘ চার মাস পর হলেও ময়না তদন্তে রিপোর্ট জমা হয়নি। পুলিশও মামলাটি অভিযোগপত্র দেয়নি। পাশাপাশি হত্যাকারী প্রভাবশালী হওয়ায় শিরিনা আক্তার  হত্যার সুষ্ঠ বিচার নিয়েও শংকিত তার পরিবার।

এ নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি পার্বত্যনিউজ ডটকম এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিরা নড়ে চড়ে বসে।

জানা গেছে, এ হত্যা মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন, এসআই লিটন চাকমা। পরে তদন্তের হাত বদল হয়। মালার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা লিটন চাকমা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার দাখিলকৃত প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলেন, আসামী হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে মর্মে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।

ঘটনার পর খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহাদাত হোসেন টিটো জানান, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ নিজাম উদ্দিনকে আটক করা। প্রাথমিক আলামতে এটি হত্যাকান্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি শহরের ঠিকাদার তাজুল ইসলামের তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে শিরিনা আক্তার শিরিন সবার ছোট হওয়ায় পরিবারে সবার আদরের সে। মাত্র ১৪ বছর বয়সে শিরিনা আক্তারকে আবু ড্রাইভারের বখাটে ছেলে নিজাম উদ্দিন অপহরণ করে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করে। এ নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরীও হয়। পরবর্তীতে পারিবারিক সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি তাজুল ইসলাম মেনে নেয়।

ঠিকাদার তাজুল ইসলাম জানান, মেয়ের সুখের কথা ভেবে শহরের শাল বাগান এলাকায় মেয়ের স্বামী নিজাম উদ্দিনকে ১০ শতক জমি  কিনে সেখানে বাড়ী করে দেই। পরবর্তিতে গাড়ীও কিনে দেওয়া হয়।

Exit mobile version