parbattanews

খাগড়াছড়িতে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়িতে প্রতিযোগিতা করে পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে। প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় পাহাড় খেকোরা আরও বেপরোয়া হয়ে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে পাহাড়ের বুকে যন্ত্র চালাচ্ছে। ফলে সামনে বর্ষা মৌসুমে খাগড়াছড়িতে ফের পাহাড় ধসে প্রাণহানীর পাশাপাশি মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছে।

খাগড়াছড়ি শহরের সবুজবাগ, শাল বাগান ও এডিসি হিলে প্রতিনিয়ত চলছে পাহাড় খেকোদের তাণ্ডব। ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে প্রভাবশালীরা। কেউ কেউ বানাচ্ছে বসতবাড়ী। নিচে থেকে মাটি কাটার কারণে পাহাড়ের উপরে বসবাসকারী রয়েছে আতঙ্কে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন পাহাড় কাটা দিনের পর দিন চললেও নির্বিকার প্রশাসন। পাহাড়ের মাটি কাটার কারণে সামনে বর্ষা মৌসুমে আবারও পাহাড় ধসে প্রাণহানীর আশংকা করছে ক্ষতিগ্রস্তরা। তবে পাহাড় কাটার দায়ে অভিযুক্তরা  বলছে ভিন্ন কথা।

খাগড়াছড়ি শহরের সবুজ বাগের পাহাড় কাটার সাথে জড়িত হোসেন আহমেদ, তিনি পাহাড় কাটছেন না। মাটি ড্রেসিং করছেন। খাগড়াছড়ি পৌর শহরের শাল বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, বিশাল পাহাড় কেটে বাড়ি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্থানীয় শরীফ ভূইয়া। তবে অভিযুক্ত শরীফ ভূইয়া রাস্তার কাজের জন্য পাহাড়  কাটা হয়েছে বলে জানায়।

পাহাড় কাটার কারণে আতঙ্কিত প্রতিবেশীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এরা খুবই প্রভাবশালী। প্রশাসনকে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না। অনেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পাহাড় কাটার সময় এসে হাজির হয় এবং টাকা নিয়ে চলে যায়।

খাগড়াছড়ির পরিবেশ কর্মী আবু দাউদ বলেন, প্রায় প্রতি বছর খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে প্রাণহানীর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাড়ি-ঘর ও সম্পদ। অথচ পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই বলে তিনি অভিযোগ করেন।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, কাউকে পাহাড় কাটার অনুমতি দেওয়া হয়নি। পাহাড় কাটা থেকে বিরত রাখতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছে প্রশাসন।

শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেন এলাকাবাসী।

Exit mobile version