parbattanews

খাগড়াছড়িতে চিকিৎসার অভাবে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে শিশু রাজেশ

শিশু রাজেশ চাকমা। গরিবের ঘরে পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে আলো করতেই তার জন্ম। বয়স মাত্র ৬ মাস। এই বয়সে প্রায় সব শিশুই হাসতে শেখে, খুশি প্রকাশ করতে শেখে। অথচ শিশু রাজেশ খেতে পারছে না, শ্বাস নিতে পারছে না, ঘনঘন কাশি হচ্ছে, শারীরিক বৃদ্ধি হচ্ছে না। যে বয়সে মায়ের কোলে হেসে খেলে থাকতো, সে বয়সে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে তার। কারণ হার্টে ফুটো ধরা পড়েছে তার। প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছে এই ছোট্ট বাবুটি আর খেটে খাওয়া গরিব মা বাবার সামর্থ্য নেই চিকিৎসার।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার দুর্গম ভাইবোনছড়ার ৯নং প্রকল্প গ্রামে বাস  দিন মজুর খোকন বিকাশ চাকমা ও স্ত্রী পিকে চাকমার। ছয় মাস আগে স্ত্রী পিকে চাকমা জমজ সন্তানের জন্ম দেয়। প্রথম ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানের নাম রাজেশ চাকমা ও দ্বিতীয় সন্তানের নাম রাখা হয় আশেষ চাকমা। তাদের আশা ছিল দুই সন্তান নিশ্চিন্তে দোলনায় দোল খেয়ে মায়ের কন্ঠে গান শুনে ঘুমিয়ে যেতে পারবে। খুকুমণির আঙ্গুলের আলতো ছোঁয়ায় মায়ের মলিন মুখখানিতে আবার হাসি ফুটবে আর মুছে যাবে সব দু:খ-বেদনা। ভালবাসা আর আদরে ভরে যাবে মায়ের বুক। কিন্তু  জন্মের পর থেকে রাজেশ ছিল রোগাক্রান্ত। অর্থাভাবে দিনমজুর পরিবারটি অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসার জন্য গ্রাম্য পাহাড়ি বৈদ্য দিয়ে বনাজি ঔষধের উপর নির্ভর হয়ে পড়ে। কিন্তু রোগ ভালো না হয়ে দিন দিন স্বাস্থ্যের অবনতি হলে পরবর্তিতে ডাক্তারে কাছে গেলে রাজেশ চাকমার হার্টে ফুটো ধরা পড়েছে। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন দুই লাখ টাকা। কিন্ত হত-দরিদ্র খোকন বিকাশ চাকমা ও পিকে চাকমা এত টাকা নেই। তার পরও বাবা-মা শত কষ্ট সহ্য করে পরম ভালবাসা, মায়া মমতা দিয়ে সন্তানকে সুখের ছোঁয়া দিয়ে যাচ্ছেন। যাতে রোগ কষ্টের অনুভূতি প্রশমিত হয় তার জন্য বনাজি ঔষধ খাইয়ে যাচ্ছে। রাজেশ চাকমাকে সুস্থ করতে হলে অন্তত দুই লাখ টাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। কিন্তু টাকা যোগার করা হতদরিদ্র খোকন বিকাশ চাকমার পক্ষে সম্ভব না। অসুস্থ রাজেশ চাকমাকে বাঁচাতে হতদরিদ্র খোকন বিকাশ চাকমা ও পিকে চাকমা এখন তাকিয়ে আছেন সমাজেরে বিত্তবানদের দিকে।

দিনমজুর খোকন বিকাশ চাকমা জানান, সন্তানের চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য তার নেই। ইতিমধ্যে অনেক কর্জ হয়ে গেছে।

পিকে চাকমা তার সন্তানের চিকিৎসার বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, আমরা দিনে এনে দিনে খাই।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্টার (কার্ডিওলজি) ডাক্তার চঞ্চল বড়ুয়া জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে অপারেশন করা সম্ভব না হলে শিশুটিকে বাঁচানো যাবে না। এ রোগের চিকিৎসা দেশেই সম্ভব।

মায়ের কোলই পৃথিবীর প্রত্যেক সন্তানের পরম শান্তির আশ্রয়স্থল। আপনার-আমার একটু সহযোগিতাই পারে কোমলমতি শিশু রাজশ চাকমাকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে। আসুন, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই, সবার সহযোগিতায় বাঁচাতে পারে একটি শিশুর প্রাঁণ।

যোগাযোগ ও সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:

খোকন বিকাশ চাকমা (শিশু রাজেশ চাকমার পিতা) মোবাইল:০১৫৫৭৭২১১৬১, ০১৮৮৭৯২৫৫১০, ৯নং প্রকল্প গ্রাম, ভাইবোনছড়া, খাগড়াছড়ি, বিকাশ:০১৫৫৮৯১৪৬৬৭

Exit mobile version