parbattanews

খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগকর্মী রাসেল হত্যার সন্দেহভাজন আসামি টোকাই ফারুক গ্রেফতার


নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল হত্যাকাণ্ডে ফারুক মিয়া ওরফে টোকাই ফারুক নামে আরও এক সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার(১ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে শহরের ঈদগাহ মাঠ থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে রাসেল শেখ হত্যাকাণ্ডে এজাহারভূক্ত দুই আসামিসহ ৪জনকে আটক করা হলো।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহাদত হোসেন টিটু জানান, ফারুক মিয়া খাগড়াছড়ি শহরের কলাবাগান এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে। টোকাই ফারুকের নামে ১২/১৩টি সন্ত্রাসী মামলা রয়েছে। তিনি আরও জানান, ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল শেখ হত্যাকাণ্ডে আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তদন্তে নাম আসলে কাউকেও ছাড় দেওয়া হবে না।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ জেলা শহরের মিলনপুর ব্রিজ এলাকায় ওয়ার্ড ছাত্রলীগ কর্মী মো. রাসেল শেখ(১৭)কে এলোপাথারী কুপিয়ে ব্রিজের নিচে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাসেল মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়ে।

এ ঘটনায় নিহত রাসেলের মা খোদেজা বেগম রবিবার রাতে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম ও জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পাদক দিদারুল আলমসহ প্রতিপক্ষের ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অন্তত ১০/১৫ অজ্ঞাত নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

শুরু থেকেই খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির অনুসারীরা ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল হত্যাকাণ্ডের জন্য পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমের অনুসারীদের দায়ী করে আসছে।

পক্ষান্তরে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলম পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, মাদক সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল খুন হতে পারে। আমরাও এ নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার চাই। কিন্তু আওয়ামীলীগ নামধারী একটি মহল ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি মামলাটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবি করে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের হয়রানির উদ্দেশ্যে বর্তমান এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার গুটিকয়েক অনুসারী খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনের পর থেকে জোট সরকারের হামলা-মামলার শিকার ত্যাগী নেতাকর্মীদের কোণঠাসা করে নিজেদের পকেট ভারী করার অপ-রাজনীতি করে আসছে। এ অপ-রানীতির অংশ হিসেবে রাসেল হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত খুনীদের আড়াল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

Exit mobile version