সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ‘র সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করার প্রতিবাদে সোমবার দেশব্যাপী ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে খাগড়াছড়িতে কোন ধরনের প্রভাব পড়েনি। জামায়াতের নিরুত্তাপ হরতালে অন্যান্য দিনের মতোই মতোই স্বাভাবিক ছিল খাগড়াছড়ির জনজীবন।
রাজধানী শহর ঢাকার উদ্দেশ্যে কোন যানবাহন ছেড়ে না গেলেও হরতালের দিন সোমবার সকাল থেকেই জেলার সাথে বিভিন্ন উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। পাশের জেলা রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম ও ফেনীর উদ্দেশ্যেও যানবাহন ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। হরতালের সমর্থনে জেলার কোথাও কোন ধরণের মিছিল কিংবা পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি।
সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে সব ধরনের দোকান-পাট খোলা ছিল। প্রতিদিনের মতোই সরকারী-বেসরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত অফিস আদালতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। অন্যদিকে ব্যাংকসমুহের কার্যক্রম ছিল অন্যান্য দিনের মতোই। হরতালে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি গ্রাহক উপস্থিতিও ছিল স্বাভাবিক। প্রতিদিনের মতোই চলছে ব্যাংকিং লেনদেন। হরতালের কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা স্থগিত করা হলেও জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
এদিকে হরতালের সমর্থনে জামায়াত-শিবিরের কোন নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা না গেলেও হরতালকে ঘিরে যেকোন ধরনের নাশকতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে দেখা গেছে। জেলা ও উপজেলা শহরের গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্টগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। যেকোন ধরনের নাশকতা প্রতিরোধে সকাল থেকেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে ছিল উল্লেখ করে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো: মজিদ আলী বলেন, জেলার কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
