নিজস্ব প্রতিবেদক,খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজের ছাত্রী ইতি চাকমার খুনীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছে ইউপিডিএফ সমর্থিত ৫ নারী সংগঠন।
বুধবার সকালে এক ঘন্টাব্যাপী এ অবস্থান ধর্মঘটে দাবি আদায়ে আগামী ২৯ মার্চ জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কালো ব্যাজধারন ও এক ঘন্টা ক্লাস বর্জনের কর্মসূচি দেওয়া হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, ইতি চাকমার মা পদ্মবতী চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অনিল চাকমা, হিলউইমেন্স ফেডারেশনের সভানেত্রী নিরূপা চাকমা ,সাধারণ সম্পাদিকা মন্টি চাকমা ও সাজেক নারী সমাজের সভানেত্রী নিরুপা চাকমা।
বক্তারা অভিযোগ করেন, নারী নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ঘটনার ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা ও প্রকৃত খুনিদের আড়াল করার কারণে বার বার দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
এর আগে ইউপিডিএফ সমর্থিত ৫ নারী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, সাজেক নারী সমাজ, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি ও নারী আত্মরক্ষা কমিটির খাগড়াছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে যেতে চাইলে মূল ফটকে পুলিশ বাধা দেয়। পরে ইতি চাকমার হত্যাকারীদের গ্রেফতার, সভা-সমাবেশ করার অধিকার দেওয়া, গ্রেফতার ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা তুলে নেওয়া ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে সরকারের সার্কুলার গোপনে বা প্রকাশ্যে জনগণের সম্মতি ব্যতীত জারি না করাসহ তিন দফা দাবিতে একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে আসে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে খাগড়াছড়ি শহরের আরামবাগ এলাকায় খুন হয় কলেজ ছাত্রী ইতি চাকমা। তাকে ধারালো দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ভগ্নিপতির ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ইতি চাকমা জেলার দীঘিনালা উপজেলার ছনখোলাপাড়ার মৃত অন্ত্ররেন্দ্রীয় চাকমার কন্যা। এখানে ভগ্নিপতির বাড়িতে থেকে কলেজে পড়াশোনা করতো।
এ ঘটনায় ইতি চাকমার বড় বোন জোনাকি চাকমা বাদী অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, মামলার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভগ্নিপতির বন্ধু গণতোষ চাকমাকে আটক করা হয়েছে।
