খাগড়াছড়িতে জেল সুপারের গাড়ীর ধাক্কায় হিসাবনিরীক্ষা কর্মকর্তাসহ আহত ৪

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি শহরের কোট বিল্ডিং এলাকায় ডাকঘর ও প্রেস ক্লাব  পার্শ্বে খাগড়াছড়ি  জেল সুপারের গাড়ীর ধাক্কায় ৪ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। জানাযায়, সোমবার রাত ৮টার দিকে খাগড়াছড়ি জেল সুপারের গাড়ী প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য  চালাচ্ছিলেন  খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক অফিসের এনডিসি  অঞ্জন  সরকার। তিনি গাড়ী নিয়ে কোট এলাকা  থেকে নামার পথে প্রথমে কোর্ট চত্তরে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। পরে খাগড়াছড়ি প্রধান ডাকঘরের সামনে এসে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে আশেপাশের পথচারীদের আঘাত করে ডাকঘর ও প্রেস ক্লাব এলাকায় আইল্যান্ডে তুলে দিলে খাগড়াছড়ি হিসাবরক্ষণ অফিসের হিসাবনিরীক্ষা কর্মকর্তা পূর্ণধর চাকমা গাড়ীর ধাক্কায় আঘাত পেয়ে মাটিতে পড়ে যান।

জানাযায় জুন মাস হওয়ায় দেরীতে অফিসের কাজ সেরে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় গাড়ীতে থাকা তিনজন রামেন্দ্র ত্রিপুরা (ডিসি অফিসের ড্রাইভার), মো. আনিসুর রহমান(জর্জ কোটের ড্রাইভার),উসাময় মারমা (ডিসি অফিসের মাষ্টাররোলে পিয়ন) গাড়ীতে থাকায় তারা ও মারাত্বকভাবে আহত হন।

আহতদের সবাইকে তাৎক্ষনিকভাবে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে হিসাবনিরীক্ষা কর্মকর্তা পূর্ণধর  চাকমাকে মুমুর্ষ অবস্থায় সেনাবাহিনীদের একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রাম সামরিক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায় , কারাগারের গাড়িটি ১৬ ও ১৭ জুন দুই দিনের জন্য জেলা প্রশাসন রিকুইজেশন করেছে। কারাগারের গাড়ির কোন চালক বর্তমানে নেই। জেলা প্রশাসনই গাড়িটির চালকের ব্যবস্থা করেছে।
দুর্ঘটনার ব্যাপারে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মাসুদ করিম বলেন, দুর্ঘটনার কারণে পুলিশ মামলা করেছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আলাদা কোন তদন্ত করার প্রয়োজন পড়েনি। তিনি জানান, দুর্ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মারাত্মক আহতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এ দিকে ঘটনার পর পরই এনডিসি অঞ্জন সরকার কোথায় আছেন জানা যাচ্ছেনা । অনেকের ধারনা তিনি পালিয়েছেন। এ রিপোট লেখার আগ পর্যন্ত পূর্ণধর চাকমার জ্ঞান ফিরেনি বলে তার এক নিকট আত্বীয় মুঠোফেনে জানিয়েছেন। খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাসত্য । তবে এখনো  (মঙ্গলবার পর্যন্ত) থানায় মামলা হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন