ফলোআপ

খাগড়াছড়িতে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায় বাধ্য করায় আটক ৪

fec-image

খাগড়াছড়িতে কাজ দেয়ার প্রলোভনে তরুনীকে(২০) আটকে রেখে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগে আটককৃত ৪ জনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হলে আদালত জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আটককৃতরা হলেন, আমেনা বেগম, তার মা সেতারা বেগম, শামিমা আক্তার ও তার স্বামী ইসমাইল হোসেন। তারা সবাই একই পরিবারের।

বুধবার (১৭ মে) বিকালে অভিযুক্তদের জেলা সদরের গামারীঢালা এলাকার তাদের নিজ বাসা থেকে আটক করে পুলিশ।

ভিকটিম জানায়, সৎ মায়ের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সে গত ১১ মে জেলার মাটিরাঙ্গার গৌরাঙ্গ পাড়ার বাসা পালিয়ে খাগড়াছড়ি চলে আসে। শহরের জিরোমাইল এলাকায় এসে একটি ঘরে কাজের সন্ধান করতে থাকে। সেখান থেকে এক নারী চার হাজার টাকা বেতনে কাজ দেওয়ার কথা বলে তাকে খাগড়াছড়ি সদর ইউনিয়নের গামারিতলা এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ওই নারী মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে অনৈতিক সম্পর্কে বাধ্য করে।

এ সময় প্রায় ১০ জন তাকে ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেলে এক বৃদ্ধ লোক ওই ঘরে গিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে।

থানা পুলিশ জানায়, ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে বুধবার বিকালেই সদর থানায় নিয়ে আসে। তাদের বিরুদ্ধে রাতেই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন ভিকটিম।

খাগড়াছড়ি সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিনিয়া চাকমা বলেন, ভিকটিম বিলকিছ আক্তারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আসামিদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এ ঘটনায় রাতেই সদর থানায় মানব পাচার দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক ৪ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যব¯’া নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিউজটি ভিডিওতে দেখুন:

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আটক, খাগড়াছড়ি, জোরপূর্বক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন