parbattanews

খাগড়াছড়িতে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে নিবন্ধনহীন চার শতাধিক চাঁদের গাড়ি

অদক্ষ চালক ও নেই ফিটনেন্স। তারপরও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ও আভ্যন্তরীণ সড়কে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রায় তিন শতাধিক চাঁদের গাড়ি। ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রাণ হারাচ্ছে পর্যটকসহ যাত্রীদের।তারপরও অদৃশ্য শক্তিতে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো জেলা। গত কয়েক মাসে চাঁদের গাড়ি দুর্ঘটনায় পর্যটকসহ অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছে। কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই।

খাগড়াছড়িতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের প্রিয় বাহন চাঁদের গাড়ি। গাড়ির নাট- বল্টু নেই। গাড়ির যন্ত্রপাতি নড়বড়ে। তাই রশি দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ এ চাঁদের গাড়িতে করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকসহ জেলার আভ্যন্তরীণ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনেকে চাঁদের গাড়িগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি জানিয়েছেন।

প্রায় ৬০ থেকে ৭০ বছর ধরে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন সড়কে চলাচল করছে অন্তত সাড়ে শতাধিক চাঁদের গাড়ি। মূলত, চন্দ্র যানের মতো দুর্গম পাহাড়ে চলাচল করতে সক্ষম বলে এর নাম চাঁদের গাড়ি বলে পরিচিত লাভ করেছে। ছাদ খোলা হওয়ায় পর্যটকদের কাছেও এ যানটি জনপ্রিয়। কিন্তু ফিটনেন্সবিহীন ও অদক্ষ চালকের কারণে প্রতিনিয়িত ঘটছে। প্রাণ হারাচ্ছে পর্যটকসহ আভ্যন্তীরণ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।

তবে চাঁদের গাড়ি চালকেদের দাবি তাদের সব কিছু আছে।

এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, গত ১০ মাসে চাঁদের গাড়ি দুর্ঘটনায় পর্যটকসহ অন্তত ৫ জন নিহত ও বহু যাত্রী আহত হয়েছে। ফলে আতঙ্কে পর্যটকরাও। এ নিয়ে চাঁদের গাড়ি মালিক ও মোটরযান কর্মকর্তাদের রয়েছে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য।

খাগড়াছড়ি জীপ-পিকআপ মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক পরিমল দেব নাথ বলেন, তাদের সব কিছুই ঠিক আছে। আবেদনও করা হয়েছে। কিন্তু বিআরটিএ সহযোগিতা করছেন না।

অপর দিকে খাগড়াছড়ি বিআরটিএ-এর মোটরযান পরিদর্শক মো. কাউসার আলম বলেন, চাঁদের গাড়ুগুলো দেশীয়ভাবে তৈরি হওয়ার কারণে বিআরটিএ-এর কোন অনুমোদন নাই। সে কারণে রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেন্স দেওয়ারও সুযোগ নেই। কারিগরি সনদ বিহীন ক্রটিপূর্ণ গাড়ি চালকরাও অদক্ষ হওয়ার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে।

অপর দিকে চাঁদের গাড়ির মালিকদের দাবি তাদের সব কিছুই রয়েছে।তবে এ বিষয়ে যারা ব্যবস্থা নিবেন তারা কথা বলতে রাজি না।

পর্যটকসহ সকল নাগরিকের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফিটনেন্সবিহীন ও অদক্ষক চালকদের মাধ্যমে পরিচালিত চাঁদের গাড়িগুলো বন্ধ করার দাবি সাধারণ মানুষের।

Exit mobile version