খাগড়াছড়িতে দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ পালিত

OLYMPUS DIGITAL CAMERA

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :

বির্তক প্রতিযোগীতা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে সপ্তাহ ব্যাপী পালিত হয়েছে দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ।

খাগড়াছড়িতে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলায় দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ পালিত হয়েছে। এরই সুত্র ধরে আজ মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ি অফিসার্স ক্লাবে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির শেষ দিনে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

খাগড়াছড়ি জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ফারজানা আলম ও দীঘিনালা কলেজের প্রভাষক দুলাল হোসেনের সঞ্চালনায় খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ করিম‘র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চাইথো অং মারমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো: রফিকুল আলম, দুর্নীতি দমন কমিশনের রাঙ্গামাটি কার্যালয়ের  উপ-পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, সহকারী উপ-পরিচালক মো: রিয়াজ উদ্দিন, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও জিটিবি‘র খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি মো: জসিম উদ্দিন মজুমদার, মহালছড়ি উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শাহজাহান ফরায়েজি, মাটিরাঙ্গা উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী খোকন, মানিকছড়ি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুল মান্নান, লক্ষিছড়ি উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: মোবারক হোসেন।

বক্তারা বলেন, দুর্নীতি আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আগে নিজের পরিবার থেকে সচেতনতা  শুরু করতে হবে। নিজে সচেতন না হলে অন্যকে কখনো সচেতন করা যাবে না। আর যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন তাদেরকেও এ ব্যপারে উদ্যোগ নিতে হবে। তারা আরো বলেন, আমাদের দেশে এখন সব সেক্টরে দুর্নীতি ঢুকে গেছে। ফল বিক্রেতা রং মিশায়, মাছ বিক্রেতা ফরমালিন মিশিয়ে মাছ বিক্রি করছে। আর অফিস আদালতে বকশিস নামক এক ধরনের উপঢৌকন না দিলে ফাইল টেবিল থেকে নড়ে না, তাই লেবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালানর নিয়োজিত প্রত্যেক ব্যক্তিকে দুর্নীতির বিষয়ে সচেতন হতে হবে, তা না হলে দেশ কখনো দুর্নীতি মুক্ত হবে না।

জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ করিম দুদক উপ-পরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে এখন এমন কর্মচারী আছেন যে, তারা এক একজন কোটি টাকার মালিক, তাদের বাড়িঘর এক একটা রাজ মহলের মতো। দুদকের উচিত তাদের আয়ের উৎসের সাথে এ সবের মিল আছে কিনা তদন্ত করে দেখা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন