parbattanews

খাগড়াছড়িতে পরিবেশ বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত

pic 2 (1) copy

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে খাগড়াছড়ি ডিবেটিং ফোরাম (কেডিএফ)-এর উদ্যোগে দিনব্যাপি পরিবেশ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে খাগড়াছড়ি পৌরসভার সহযোগিতায় জেলা স্কাউটস ভবনে আয়োজিত বির্তক প্রতিযোগীতার উদ্বোধনী ঘোষণা করেন খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. সুধীন কুমার চাকমা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন মজুমদার।

বির্তক প্রতিযোগীতায় জেলা সদর ও মাটিরাঙা উপজেলার ৪টি বিদ্যালয় এ বির্তক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বিদ্যালয়গুলো হল জেলা সদরের নতুন কুঁড়ি ক্যান্ট. হাই স্কুল, টিউফা আইডিয়েল স্কুল ও মাটিরাঙা উপজেলার মাটিরাঙা শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও মাটিরাঙা মডেল হাই স্কুল।

বিতর্কের চূড়ান্ত পর্বে মাটিরাঙা মডেল হাই স্কুল চ্যাম্পিয়ন এবং খাগড়াছড়ি নতুনকুঁড়ি ক্যান্ট. হাই স্কুল রানার্স-আপ হবার গৌরব অর্জন করে। এতে শ্রেষ্ঠ বির্তাকিক হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে নতুনকুঁড়ি’র শিক্ষার্থী সুরাইয়া লিয়াকত। সমাপনী অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মে. রফিকুল আলম, প্রধান অতিথি হিসেবে বির্তাকিকদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

খাগড়াছড়ি ডিবেটিং ফোরাম (কেডিএফ)-এর উপদেষ্টা ও সংবাদকর্মী প্রদীপ চৌধুরী সভাপতিত্বে এবং কেডিএফ সভাপতি দুলাল হোসেনে সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাপনী সভায় বক্ত্য রাখেন নতুনকুঁড়ি’র সহকারী প্রধান শিক্ষক রুশদীনা আকতার জাহান, পৌর কাউন্সিলর আব্দুল মজিদ, পৌর সচিব পারভীন আকতার খোন্দকার, শিক্ষক নেতা রফিকুল ইসলাম, টিআইব’র এরিয়া ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলাম এবং মাটিরাঙা ডিবেটিং ক্লাবের সাদারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন, খাগড়াছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. ইউসুফ আলী, খাগড়াছড়ি ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুদ্দিন আনসারী মিঠু এবং কেডিএফ সভাপতি দুলাল হোসেন।

উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো পরিবেশগত সম্পদশালী এলাকায় দারিদ্র থাকার কথা নয়। কিন্তু অবাধে বন উজাড়, বাঁশবন ধ্বংস, পাহাড়কাটার ফলে সবকটি নদী-খাল-ছড়া ও ঝিরি এখন হুমকির মুখে। তাছাড়া দেশী-বিদেশী কোম্পানীর প্ররোচনায় ক্রম বর্ধমান তামাক চাষ, মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও সার ব্যবহরের ফলে এখানকার জমির উর্বরা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে। পানি ও মৃত্তিকা দূষণের পরিণতিতে প্রাকৃতিক জল প্রবাহ যেমন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে তেমনি মৎস্য সম্পদও হারিয়ে যাচ্ছে। বক্তারা এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বিতার্কিকদের যুক্তিনির্ভর সমাজ চেতনা গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

Exit mobile version