parbattanews

খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে সহস্রাধিক পরিবার

খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার। সে সাথে থামছে না পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন। প্রতি বছর বর্ষা এলেই প্রশাসন নড়েচড়ে বসলেও সারা বছর পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন নিয়ে প্রশাসন নির্বিকার থাকেন এমন অভিযোগ রয়েছে। ফলে এ বর্ষা মৌসুমে খাগড়াছড়িতে আবারও পাহাড় ধসে জানমালের ক্ষতির শঙ্কা প্রবল হয়ে উঠছে। কারণ ২০১৭ সালের কথা মনে পড়লে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীরা এখনো আঁতকে উঠেন।

২০১৭ সালের এই দিন থেকে খাগড়াছড়িতে শুরু টানা বর্ষণে তিন জনের প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষতি হয়। অথচ এখনো খাগড়াছড়ি জেলায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার। বর্ষা মৌসুম আসায় পাহাড়ে বসবাসকারী এসব পরিবারের মাঝে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। খাগড়াছড়ি শহরের বিশেষ করে শহরের কলাবাগান, নেন্সিবাজার,মোল্লাাপাড়া, কৈবল্যপিঠ, আঠার পরিবার, শালবন ও মোহাম্মদপুরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এভাবে পাহাড়ের ঢালে ঢালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে সহস্রাধিক পরিবার। বিগত বছরগুলোতে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।

এদিকে শহরের বেশ কয়েকটি স্পটে পাহাড় কেটে বা পাহাড়ের পাদদেশে অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর নির্মাণ বেড়ে চললেও পাহাড় কেটে বাড়িঘর নির্মাণ বন্ধে প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। অপর দিকে পাহাড়ে পাদদেশে বসবাসকারীরা বলছে, থাকার জায়গা না থাকায় জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে তারা পাহাড়ের পাদদেশে বাস করতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকার পুনর্বাসনের উদ্যোগে নিলে সরে যেতে রাজি তারা।

খাগড়াছড়ি জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জসিম উদ্দিন মজুমদার বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের অন্যত্র পুনর্বাসনের উদ্যোগ না নিলে ভয়াবহ প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে সাংবাদিকরা লেখালেখি করছেন। বর্ষা আসলে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের সরিয়ে নেন। কিছু ত্রাণ দেন। আশ্বাস দেন পুনর্বাসনের কিন্তু এর পর কেউই খবর রাখেন না।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, সামনে বর্ষা আসছে। বর্ষায় পাহাড় ধসে ব্যাপক জীবন হানির শঙ্কায় বুকে কম্পন শুরু হয়েছে। তবে এককভাবে নয়, সম্মিলিত উদ্যোগে পাহাড়ে পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের পুনর্বাসনে উদ্যোগ নেওয়া দরকার বলে তিনি মনে করেন।

পাহাড় কাটা বন্ধ ও পাহাড়ের ঢালে বসতি স্থাপন বন্ধের উদ্যোগ না নিলে যে কোন সময় প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে। তাই শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, উদ্যোগের সফল বাস্তবায়ন প্রত্যাশা সচেতন মহলের।

Exit mobile version