খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত, নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং
টানা ভারী ভর্ষণে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস ও নিম্লনাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঝুকিপূর্ণ পাহাড় থেকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সচেতনতামূলক মাইকিং করছে প্রশাসন। বর্ষণ এখনো অব্যাহত রয়েছে।
কয়েক দিনের টানা বর্ষণে খাগড়াছড়ি শহরের কলাবাগান ও শালবাগানের পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে জীবন হানির ঘটনা না ঘটলেও বাড়ি-ঘর ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। টানা বর্ষণে সড়ক ডুবে যাওয়ায় জেলার দীঘিনালার সাথে সাজেকে যানবাহন চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে।
এদিকে টানা বর্ষণে দীঘিনালা উপজেলার বেতছড়ি, রশিকনগর, মেরুং এবং লেবু বাগান এলাকায় ঝুকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার। সে সাথে থামছে না পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন। প্রতি বছর বর্ষা এলেই প্রশাসন নড়েচড়ে বসলেও সারা বছর পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন নিয়ে প্রশাসন নির্বিকার থাকেন এমন অভিযোগ রয়েছে।
২০১৭ সালের খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে তিন জনের প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বর্ষা মৌসুম আসায় পাহাড়ে বসবাসকারী এসব পরিবারের মাঝে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ফলে পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু জানান, শুধু খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকায় ৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।