parbattanews

খাগড়াছড়িতে প্রবারণা পূর্ণিমা : বর্ণিল ফানুসের ঝলকানীতে আলোকিত রাতের আকাশ

প্রবারণা পূর্ণিমা

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :

শারদীয় দুর্গোৎসব আর ঈদ-উল-আযহা‘র রেশ কাটতে না কাটতেই ব্যাপক আয়োজন আর আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে শুরু হয়েছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। পাহাড়ী জনপদ খাগড়াছড়ি এখন প্রবারণা পুর্নিমার উৎসবে মুখর। পরপর দুটি উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই পাহাড়ের মানুষ ভাসছে আরেকটি উৎসবে।

প্রবারণা পুর্নিমাকে ঘিরে খাগড়াছড়ি জেলার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে চলছে আনন্দ উৎসব। বৌদ্ধ বিহারগুলোতে চলছে প্রার্থনা, ধর্মীয় সভাসহ নানা আয়োজন। আজ মঙ্গলবার রাতের আকাশে উড়ানো হয়েছে প্রবারণা পূর্ণিমার অন্যতম আর্কষণ ফানুস বাতি। পাহাড়ী জনপদের আকাশ রং-বেরংয়ের বর্ণিল ফানুসের ঝলকানীতে ঢেকে পড়েছে। অন্যদিকে মন্দিরগুলোতে জ্বলে উঠছে হাজারো মোমবাতি।

প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সকালে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে ফুল প্রদীপ ও দূর্বা দিয়ে বুদ্ধের পূজা করা হয়। চলে ভিক্ষুদের মধ্যে দায়ক-দায়িকাদের পিন্ড দান।

তিন মাস বর্ষাবরণের পর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মাঝে আনন্দের বার্তা বয়ে আনে এই প্রবরাণা পূর্ণিমা। নিজের দোষ স্বীকার করে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ করাই প্রবারণা পূর্ণিমার লক্ষ্য। প্রবারণার প্রধান শিক্ষা হলো, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের মধ্যেই আছে শান্তি ও সান্তনা।

খাগড়াছড়ির ধর্মীয় ক্যায়াং বা বিহারগুলোতে প্রার্থনা এবং ছোয়াইং দানের জন্য পূণ্যার্থীদের ভিড় লেগে থাকবে। রাতে স্থানীয় পাহাড়ীদের পাড়ায় পাড়ায় তৈরি করা হবে বিভিন্ন ধরনের পিঠা-পুলি। প্রতি বছর ন্যায় এবারও বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তিন পার্বত্য জেলায় মাসব্যাপী এ উৎসব চলবে।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার শেখ মো: মিজানুর রহমান পার্বত্যনিউজকে জানান, প্রবারণা পুর্নিমাকে ঘিরে পুরো জেলা জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ক্যায়াং বা বিহারগুলোসহ উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে পুলিশী টহল বাড়ানো হয়েছে।

Exit mobile version