parbattanews

খাগড়াছড়িতে প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাচ্ছে সরকারি বনভূমি

pahar pic 25-02-16. 222222

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ি জেলায় তিন লক্ষ একর খাস বনভূমি থাকা সত্তেও সামাজিক বনায়নে নেই কোন সরকারি উদ্যোগ। পড়ে থাকার সুযোগে প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাচ্ছে সরকারি এসব ভূমি। সরকারি ভাবে এ ভূমির সঠিক তদারকি না থাকায় দখল করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে শত শত।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এসব খাস ভূমি ইউ এস এফ বনভূমি নামে পরিচিত। যা বর্তমানে জেলা প্রশাসকের মালিকানাধীন রয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় বন বিভাগ কতৃক সামাজিক বনায়নের কার্যক্রম সরকারি ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও পার্বত্যাঞ্চলে সরকার সামাজিক বনায়ন করছে না। ফলে খাগড়াছড়িতে এত বিশাল বনভূমি কোন কাজে লাগাতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসন।

জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি সমস্যার কারণে এখানকার আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের প্রভাব বিস্তারের ফলে সামাজিক বনায়নে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। আর এ কারনে প্রতিবছরই খালি পড়ে থাকছে লক্ষ লক্ষ একর ভূমি। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পওি কমিশনের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পাহাড়ে ভূমি বিরোধ দিন দিন বেড়েই চলছে বলে মনে করছেন সশ্লিষ্টরা ।

খাগড়াছড়ি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোমিনুর রশিদ জানান, এখানে সামাজিক বনায়নের কার্যক্রম গ্রহণ করা দরকার। সামাজিক বনায়ন হলে বিপুল পরিমাণ বনজ সম্পদের সৃষ্টি হবে। জনগনের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে, মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল হলে পাহাড়ের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী দূর হবে।

জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুজ্জামান জানান, বনভূমি থাকলেও সরকারি ভাবে কোন দিকনির্শনা না থাকায় কার্যকারি পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছে না। আর সে কারণেই প্রতি বছরই খালি থাকে লক্ষ লক্ষ একর ভূমি।

বন বিভাগের সূত্র জানায়, এ জেলায় সরকারি রিজার্ভ ফরেস্ট এর পরিমাণ যতসামান্য। এত বিশাল খাস বনভূমি গুলো সঠিক ব্যবহার করে সামজিক বনায়ন করা হলে এখানকার অর্থনৈতিক প্রসার ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

Exit mobile version