parbattanews

খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বৈসাবি উৎসবের উদ্বোধন

Khagrachari Pic 04 (2) copy

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়িতে বর্নাঢ্য আয়োজনে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব বৈ-সা-বি উৎসবের উদ্বোধন হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

পরে পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণিল পোশাকে তরুন-তরুনী ছাড়াও বিভিন্ন বয়সের  হাজারো বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর নারী-পুরুষের অংশ গ্রহণে একটি র‌্যালি  বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজন করা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী ওয়াটার ফেস্টটি বল বা পানি উৎসব ও গড়িয়া নৃত্যসহ মনোজ্ঞ ডিসপ্লে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মীর মুশফিকুর রহমান, বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মতিউর রহমান, ডিজিএফআই খাগড়াছড়ি অধিনায়ক মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. আলী আহমেদ খান ও খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার  মেজর মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম ছাড়াও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য, সামরিক-বেসামরিক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এদিকে আগামীকাল বুধবার  নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে মূলত খাগড়াছড়িতে শুরু হবে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি।ওইদিন সকালে চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসানো হবে। ১৩ এপ্রিল চাকমা সম্প্রদায়ের মূল বিঝু আর পহেলা বৈশাখ বা গজ্জাপয্যা। ওইদিন ঘরে ঘরে চলবে অতিথি আপ্যায়ন। সেই সাথে সব বয়সী মানুষ নদী খাল অথবা ঝর্নায় গঙ্গা দেবীর পুজা আরাধনা করবেন। ১৪ এপ্রিল পালিত হবে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই ও পানি উৎসব বাংলা নব বর্ষের র‌্যালি।

১৯৮৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত তিন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে ‘বৈসাবি’ নামে এ উসব পালন করে আসছে। যা সময়ের ব্যবধানে নিজ নিজ সম্প্রদায়ের লোকদের কাছে ‘বৈসাবি’ শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব নামে ‘ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, মারমা ভাষায় সাংগ্রাই এবং চাকমা ভাষায় বিঝ’ নামে এ উৎসব পালন হয়ে থাকে। এ তিন সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষার নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ করা হয়।

Exit mobile version