parbattanews

খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বৈসাবি উৎসবের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়িতে বর্নাঢ্য আয়োজনে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব বৈসাবি’র উৎসবের উদ্বোধন হয়েছে।

বুধবার (১১এপ্রিল) সকালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নুরুল আমিন।

এর পর পরই পুরো শহরে উৎসবের রং ছড়িয়ে পড়ে। পরে পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণিল পোষাকে তরুন-তরুনী ছাড়াও বিভিন্ন বয়সের হাজারো বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর নারী পুরুষ অংশ গ্রহনে একটি র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে।

পরে খাগড়াছড়ি টাউন হল প্রাঙ্গণে আয়োজন করা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী গড়িয়া নৃত্যসহ মনোজ্ঞ, মারমা সম্প্রদায়ের পাখা নৃত্য, পানি উৎসব ও সাওতাল নৃত্য মনোজ্ঞ ডিসপ্লে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার আলী আহমেদ খানসহ উচ্চ পদস্থ সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা।

এদিকে বৃহস্পতিবার নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে শুরু হবে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি। ওই দিন সকালে চেঙ্গী, মাইনী ও ফেনী নদীতে ফুল ভাসানো হবে।

১৩ এপ্রিল চাকমা সম্প্রদায়ের মূল বিঝু আর পহেলা বৈশাখ বা গজ্জাপয্যা। ওই দিন ঘরে ঘরে চলবে অতিথি আপ্যায়ন। সেই সাথে সব বয়সী মানুষ নদী খাল অথবা ঝর্নায় গঙ্গা দেবীর পুজা আরাধনা করবেন। ১৪ এপ্রিল পালিত হবে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই ও পানি উৎসব বাংলা নব বর্ষের র‌্যালী।

১৯৮৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত তিন স¤প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে ‘বৈসাবি’ নামে এ উসব পালন করে আসছে। যা সময়ের ব্যবধানে নিজ নিজ স¤প্রদায়ের লোকদের কাছে ‘বৈসাবি’ শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব নামে ‘ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, মারমা ভাষায় সাংগ্রাই এবং চাকমা ভাষায় বিঝ’ নামে এ উৎসব পালন হয়ে থাকে।

এ তিন সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষার নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ করা হয়।

 

Exit mobile version