“খাগড়াছড়িতে বিএনপি-আ.লীগ সংঘাতে জেএসএস-ইউপিডিএফ সুযোগ নিচ্ছে”

fec-image

গত ৪ জুন খাগড়াছড়িতে আওয়ামীলীগের মিছিল থেকে বিএনপি নেতা ওয়াদুদ ভূইয়ার কলাবাগানস্থ বাসভবনে সশস্ত্র হামলা এবং ৭ জুন মঙ্গলবার এর প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে অবরোধ ডাকার কারণে সংঘাতের সুযোগ নিয়ে উপজাতীয় জেএসএস ও ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা তিন পার্বত্য জেলায় অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য, শান্তি ও সম্প্রীতি ছাড়া উপজাতীয় সশস্ত্র রাষ্ট্রদ্রোহী তৎপরতা রোধ করা মোটেও সম্ভব নয়।

আজ ঢাকার সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে রাঙ্গামাটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এবং পিসিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য জননেতা মনিরুজ্জামান মনির উপরোক্ত আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

পিসিএনপি নেতা আরো বলেন, ইতিপূর্বে রাঙামাটিতে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ-বিএনপির অনৈক্যের সুযোগে জেএসএস নেতা উষাতন তালুকদার এমপি হয়ে বানরের পিঠাভাগ করেছেন। যেই খুনী শান্তিবাহিনী পাহাড়ের ৪০ হাজার নাগরিককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছিল, তাদেরই গডফাদার সন্তুু লারমা আজ পাহাড়ে রামরাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। জেএসএস ইউপিডিএফ চক্রান্ত করে তিন পার্বত্য জেলায় বাঙালিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তিতেও নানাভাবে বাধা দিয়ে চলেছে, যা খুবই উদ্বেগজনক।

বাংলাদেশের সংবিধানে দেশের কোথাও দুইটি ভোটার তালিকা হওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু পার্বত্য কালো চুক্তির অজুহাতে সন্তুুলারমারা তিন পার্বত্য জেলার ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা বাঙালি নাগরিকদেরকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য ঠুনকো অজুহাত দেখিয়ে বাধা দিচ্ছে।

ইতোমধ্যে রাঙামাটি খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে বাঙালিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করণের জন্য পিসিএনপির পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হলেও ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে বাঙালিরা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আ. লীগ, ইউপিডিএফ, খাগড়াছড়ি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন