খাগড়াছড়িতে বিদ্যালয়ের গেট চাপায় শিক্ষার্থী নিহত: তদন্ত প্রতিবেদন জমা

fec-image

খাগড়াছড়িতে বিদ্যালয়ে গেট চাপায় শিক্ষার্থী শ্রাবণ দেওয়ান নিহতের ঘটনায় জেলা পরিষদের গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। গত ১৭ আগস্ট খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীর কাছে এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন। তবে তদন্তে এ মর্মান্তিক ঘটনায় কাকে দায়ী করা হয়েছে সে বিষয়ে তথ্য দিতে রাজি হননি তদন্ত কমিটি।

তবে একাধিক সূত্র বলছে, ‘তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জিনু চাকমার দায়িত্বে অবহেলা ও গাফেলতিকে দায়ী করা হয়েছে। কারণ জনস্বাস্থ্য বিভাগের মালামালের ট্রাক ঢোকার সময় ট্রাকের ধাক্কায় বিদ্যালয়ের গেটটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রধান শিক্ষিকা বিষয়টি শিক্ষা বিভাগকে না জানিয়ে নড়েবড়ে গেটটি কাঠের খুটি দিয়ে আটকিয়ে রাখেন। এছাড়া এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য উন্নয়ন সংস্থা এলজিইডি, ঠিকাদার ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে কম-বেশি দায়ী করা হয়েছে।’

এর আগে গত ১৪ আগস্ট স্থানীয় সরকার প্রকৌশল-এলজিইডি’র গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তদন্ত কমিটির প্রধান এলজিইডি চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এনামুল হক প্রাথমিকভাবে বিদ্যালয়ে গেট চাপা পড়ে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ গাফেলতির প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানান।

তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়ের গেইট ক্রটিপূর্ণ থাকার পরও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানাননি।’

উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট সকাল ৯টা। প্রতিদিনের মতো খবং পুড়িয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থী শ্রাবণ দেওয়ান তার মা বাসনা চাকমার হাত ধরে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করছিল। এ সময় বিদ্যালয়ের গেইটটি তাদের উপর পড়ে। মা বাসনা বেঁচে গেলেও ছেলে শ্রাবণ দেওয়ান ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায়। শ্রাবণ দেওয়ান জেলা সদরের নারায়ণ খাইয়া পাড়ার প্রণয় দেওয়ানের ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর তাৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম খবং পুড়িয়া সরকারি বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন। আর ২০২০-২১ অর্থ বছরে বিদ্যালয়ের গেটসহ বাউন্ডরি ওয়াল নির্মিত হয়। এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাউন্ডারি ওয়ালসহ গেটেরে কাজ বাস্তবায়ন করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন