পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের শুনানির প্রতিবাদে উত্তাল পাহাড়

খাগড়াছড়িতে ভূমি কমিশন বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট : স্মারকলিপি পেশ

fec-image

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের শুনানিকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাহাড়।কমিশনের একপেশে শুনানি বন্ধের দাবিতে খাগড়াছড়িতে ভূমি কমিশন বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন ও প্রধানমস্ত্রীর কাছে স্বারকলিপি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ

পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের শুনানির প্রতিবাদে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে খাগড়াছড়িস্থ ভূমি কমিশন বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন শেষে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়।

অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে বক্তারা পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের সংশোধিত আইন বাতিল করে কমিশনে পাহাড়ি-বাঙালি সকল সম্প্রদায়ের সংখ্যানুপাতে নেতৃত্ব নিয়োগের দাবি জানিয়ে বলেন, সংবিধান বিরোধী ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনকে জরিপের মাধ্যমে ভূমি সমস্যার সমাধান করতে হবে। বৈষ্যমমূলক কমিশনের আইন বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূইয়া, যুগ্ন আহবায়ক আলমগীর কবীর, সদস্য সচিব এস পৌর কাউন্সিলার এস এম মাসুম রানা, আব্দুল মজিদ, মাঈন উদ্দীন, আসাদ উল্লাহ আসাদ ও লোকমান হোসেন প্রমুখ।

১৯৯৭ সালে সম্পাদিত পার্বত্য চুক্তির আলোকে গঠিত পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন আইন-২০০১। চুক্তির আলোকে হয়নি এমন অভিযোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমা শুরু থেকে এ আইনের বিরোধিতা করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে সন্তু লারমার সাথে সুর মিলিয়ে সার্কেল চিফরাও ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের বৈঠক বর্জন শুরু করলে কমিশনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।

অপর দিকে আইনটি বৈষ্যমমূলক ও সংবিধান বিরোধী এমন দাবি করে বাঙালি সংগঠনগুলোও হরতাল-অবরোধসহ নানা কর্মসূচি দিয়ে আইনটি সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছে। এরই মধ্যে ২০১৬ সালের ১ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ভেটিং সাপেক্ষে ‘পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার নীতিগতভাবে অনুমোদন ও ৯ আগষ্ট তা অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে গেজেট আকারে প্রকাশের পর গত ৬ অক্টোবর জাতীয় সংসদের পাশ হলে বাঙালি সংগঠনগুলো আইন সংশোধনের পর থেকে আইনটি বাতিলের দাবিতে বাঙালি সংগঠনগুলোর আন্দোলন আরো জোরদার হয়।

ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফা ক্ষতিগ্রস্থদের ৪৫ দিনের মধ্যে আবেদন চেয়ে জারি করা কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে প্রায় ১৫ হাজার আবেদনপত্র পড়ে। এতে করে দুই দফায় প্রায় ২২ হাজার ৯০টি আবেদনপত্র জমা পড়ে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন