পৌরসভা নির্বাচন

খাগড়াছড়িতে মেয়র পদে চার ও কাউন্সিলর পদে ৫৪জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

fec-image

খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৪ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনে ১০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য ও বর্তমান মেয়র মো: রফিকুল আলম, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইব্রাহিম খলিল ও জাতীয় পাটি মনোনীত ফিরোজ আহমেদ।

রবিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো: রাজ আহমেদ-এর কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য ও বর্তমান মেয়র মো: রফিকুল আলম পাল্টা-পাল্টি শো-ডাউন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর সব মেয়র প্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বলে জানান।

মনোনয়নপত্র দাখিলের পর নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, নির্বাচিত হলে প্রথম কাজ হবে বিরাজিত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রেখে বিগত দিনে পৌরসভার মেয়রদের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা।
তিনি বলেন, ভোট হবে প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ। সরকারি দলের পক্ষ থেকে কোন ধরনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করা হবে না। যিনিই নির্বাচিত হবেন তাকে স্বাগত জানানো হবে।

দলের বিদ্রোহী প্রসঙ্গে নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, দলের সিন্ধান্তের বাইরে কেউ প্রার্থী হলে দল সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবে। অপর দিকে মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে মো: রফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটনানোর জন্য নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আমি বিদ্রোহী প্রার্থী নয়, বিগত দিনের মত এবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলাম না। আমাকে দাওয়াত করা হয়েছে,আমি দাওয়াতে অংশগ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়ের প্রতিফলন হলে নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আপনি আওয়ামীলীগের কোন পদে আছেন এমন প্রশে^র জবাবে মো: রফিকুল আলম বলেন, অনুমোদিত কমিটি যতক্ষন পর্যন্ত আমার হাতে পৌছবেনা ততক্ষন পর্যন্ত বলতে পারবো না আমি কোন পদে আছি,সে পদে নাই।

প্রসঙ্গত,মো: রফিকুল আলম বিগত দুটি পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মেয়র নির্বাচিত হন।

সর্বশেষ ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় পাল্টা-পাল্টি হামলা-মামলা। মো: রফিকুল আলমের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগে তারই বড় ভাই খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাহেদুল আলম দলীয় পদ হারান।

এ দিকে মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইব্রাহিম খলিল নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে বিজয় নিশ্চিত দাবি করে বলেন, নির্বাচনী মাঠ এখনো পর্যন্ত ভাল আসে। তিনি পেশি শক্তিমুক্ত সবার জন্য সমান মাঠ তৈরি করার জন্য প্রশাসনকে আহবান জানান। বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইব্রাহিম খলিল ইভিএম-এ ভোট গ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, সবাই এ মেশিনের ভোট প্রদানে অভ্যস্থ না। কাজে ইভিএম নিয়ে ভোটারদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করার আহবান জানান।

খাগড়াছড়ি পৌরসভায় মোট ভোটার ৩৭ হাজার ৮৭ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৩৫১ জন ও নারী ভোটার ১৬ হাজার ৭শ৩৬। খাগড়াছড়ি পৌরসভায় ভোট কেন্দ্র ১৮ আর বুথ ১০৯টি।খাগড়াছড়ি পৌরসভায় মনোনয়নপত্র বাছাই ২২ এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ ডিসেম্বর।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগ, খাগড়াছড়ি, নির্বাচন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন