parbattanews

খাগড়াছড়িতে শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিতের অভিযোগে শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা

খাগড়াছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান মামলার দায়ের করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মৌসুমি ত্রিপুরা তার মেয়ে পায়েল ত্রিপুরাকে দিয়ে রাতে থানায় মামলাটি পাঠান। মামলা নং ৮, তারিখ ১৬ আগস্ট-২০২২। মামলায় বাদী মৌসুমি ত্রিপুরার অভিযোগ করেন, মহালছড়া সরকারি বিদ্যালয়ের গেইটটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানাতে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুভায়ন খীসার অফিসে যান। কিন্তু শিক্ষা কর্মকর্তা আবেদনপত্র গ্রহণ না করে উল্টো উত্তেজিত হয়ে তাকে মারধর করে। এতে তিনি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসে সরকারি শিক্ষা অফিসার সুভায়ন খীসা ও মহালছড়া সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৌসুমি ত্রিপুরা জানান, বিদ্যালয়ের গেইট ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানাতে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা শিক্ষা অফিসে যান। এ সময় সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুভায়ন খীসাকে আবেদনটি দিতে চাইলে উনি নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে অপর কর্মকর্তাকে দিতে বলেন। তিনি অপর কর্মকর্তার কাছে কাজ শেষ করে ফেরার পথে সুভায়ন খীসার কাছে কেন এমন করছেন জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর শুরু করেন। মৌসুমি ত্রিপুরার অভিযোগ, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সুভায়ন খীসা তাকে বিয়ে করলেও এখনও সামাজিকভাবে স্বীকৃতি দেননি।

অন্যদিকে মৌসুমী ত্রিপুরা তাকে নিজের স্বামী দাবি করলেও সহকারী শিক্ষা অফিসার সুভায়ন খীসা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মৌসুমি ত্রিপুরা অফিসে এসে আমার হাত-গলা ধরে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে আমি অপেশাদার আচরণ করতে নিষেধ করি। এই নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিতে তিনি দরজায় আঘাত পান। তাকে মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি সুভায়ন খীসার।

খাগড়াছড়ি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন বলেন, এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। অনেকের মতে, ঘটনাটি ঘটেছে ব্যক্তিগত রেষারেষি থেকে।

Exit mobile version