নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়ি জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক সুরুজ মিয়ার উপর হামলার ঘটনায় থানায় অন্তত ২২ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। মামলায় খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলম, তার ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন ফিরোজসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৯/১০ জনকে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার মামলা নং ১,তারিখ-০৩-০৮-২০১৭ইং দায়েরকৃত মামলার বাদী জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক জানু সিকদার অভিযোগ করেন, দাবিকৃত চাঁদার এক লাখ টাকা না দেওয়ায় গত ১ লা আগষ্ট শোক র্যালী থেকে ফেরার পথে আসামীরা জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সুরুজ মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি কুপিয়ে মৃত্যু হয়েছে ভেবে ফেলে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে আনলে অবস্থা অবনতি ঘটায় চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মো. আব্দুল হান্নান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম দায়েরকৃত মামলাকে মিথ্যা ও বানোয়াট অবহিত করে বলেন, আগষ্টের দলীয় কর্মসূচীতে বাধা দেওয়ায় এলাকাবাসী প্রতিরোধ করেছে। এখন প্রতিবাদী নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে।
অপর দিকে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলম তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যাচার করছে।
প্রসঙ্গত, গত পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ে। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে গত দুই বছরে অন্তত অর্ধশতাধিক বার হামলা-পাল্টা হামলার মামলার ঘটনা ঘটে।