parbattanews

খাগড়াছড়িতে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষার খাতা চার মাস ধরে পুলিশ হেফাজতে: হতাশ নিয়োগ প্রত্যাশীরা

 

এইচ এম প্রফুল্ল,খাগড়াছড়ি:

ওরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রত্যাশি। ৮৩ পদের বিপরীতে ওদের সংখা প্রায় আড়াই হাজার। খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে এরা আবেদন করেছিলেন। ভেবেছিলেন, হয়তো এবার বেকারত্ম ঘুচবে। পরীক্ষাও দিয়েছেন। কিন্তু প্রায় চার মাস সময় পার হয়ে গেলেও খাতা এখনো মূল্যায়ন হয়নি। মাসের পর মাস থানা হাজতে পড়ে আছে এ সব হত ভাগ্য চাকুরী প্রত্যাশিতদের খাতা। ফলে হতাশ হয়ে পড়েছে চাকুরী প্রত্যাশিরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে পিইডিপি-৩ এর আওতায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ জেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮৩ টি সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা পদে নিয়োগ আহবান করে। এর মধ্যে ৫৯ জন নব সৃষ্ট ও ২৪ জন শূন্য পদে। এই আহবানে সাড়া দিয়ে জেলার প্রায় ৪ হাজার আবেদনপত্র পড়ে। বাছাইয়ের পর ৩ হাজার ২শ ৩৪ টি আবেদনপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়। গত ১৪ জুন অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় ২ হাজার ৬শ ৮৭ জন অংশ নেন। কিন্তু পরীক্ষা শেষে কর্তৃপক্ষ সে সব খাতা সিলগালা করে খাগড়াছড়ি সদর থানায় জমা দেন। সে থেকে গত প্রায় তিন মাসেও  খাতাগুলো আর মূল্যায়ন করা হয়নি।

কেন নিয়োগ পক্রিয়া আটকে আছে তাও জানা নেই চাকুরী প্রত্যাশিদের। তবে একাধিক সূত্র জানায়, পরিষদ কর্তাব্যক্তিদের নিয়োগ বানিজ্যের কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। মূলত: কোটা ভিক্তিতে কে কত জন নিয়োগ দেবে এই নিয়ে মত বিরোধের কারণে নিয়োগ বিলম্বিত হচ্ছে। আর এর খেসারত দিচ্ছে চাকুরী প্রত্যাশিরা। অনেকের চাকুরী বয়সও শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই কারণে হতাশা ভুগছে চাকুরী প্রত্যাশি ও তাদের পরিবার।

বেশ কয়েকজন চাকুরী প্রত্যাশি নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, বেকার জীবন ঘোচাতে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু মনে হচ্ছে সে আশা যেন গুড়েবালি।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রামেন্দ্র পোদ্দার বলেন, আমরা জেলা পরিষদের হস্তান্তরিত বিভাগ। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি। কাজে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ ইচ্ছে করলে একক কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তবে শীঘ্রই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা জানান, ব্যস্ততার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। তবে যত তাড়াদাড়ি সম্ভব নিয়োগ সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশার বানী শোনান।

Exit mobile version