জায়গা দখল করে মিথ্যা অপবাদ ও হত্যার হুমকি

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

fec-image

খাগড়াছড়ির সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রইচ উদ্দিনসহ কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে অপর মুক্তিযোদ্ধা ও খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুর রহমানের ২ একর সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে।

শুধু তাই দখল পাকাপোক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানকে রাজাকারের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।

সাংবাদিক সমম্মেলনে তিনি তাকে রাজাকার হিসেবে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে স্বপক্ষে প্রমাণপত্র দাখিলে ব্যর্থ হলে আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান। দখল করে নিয়ে সেখানে ফ্ল্যাট বানিয়ে বিক্রি করছেন অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার(১৭ আগস্ট) সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা ও খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুর রহমান এমন অভিযোগ করে বলেন, আদালতের রায়ে ৩০ দিনের দখলদারদের জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য আদেশ দেওয়া হলেও তারা দখল ছাড়েনি।

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি সরকারের কাছে তার ও পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা দাবী করে বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবনবাজি করে যুদ্ধ করেছি। আমি একজন গেজেড ভূক্ত মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার কাছে শেখ ফজলুল হক মনির স্বাক্ষরিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সনদ রয়েছে।

দেশ স্বাধীনের পর সুনামের সাথে চাকুরি করে অবসরে গেছি। কিন্তু সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা রইছ উদ্দিনসহ কয়েকজন মিলে আমার জেলা শহরের শালবন এলাকার দুই একজন সম্পক্তি জোর পূর্বক দখল করে নিয়েছে।

আদালত আমার পক্ষে রায় দিলেও তারা দখল না ছেড়ে উল্টো সেখানে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছে। আর দখল পাকাপোক্ত করতে আমাকে রাজাকার, ভূমিদস্যু আখ্যায়িত করে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন অপবাদ দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, খাগড়াছড়ি জেলা সদরে ২৬২ নং গোলাবাড়ী মৌজায় জনৈক অংগ্য মগের নিকট কাছ থেকে ২০০৭ সালে স্ত্রী রেজি: দলিল মূলে ২.০০ (দুই) একর পাহাড় খরিদ করেন।

পাহাড়ে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছের বাগান সৃজন করে ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালে প্রাক্তন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রইছ উদ্দিনসহ কয়েকজন মিলে বেশ কিছু বাহিরের লোক সেই জায়গা জবর দখল করার চেষ্টা করা হলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত ও যুগ্ম জেলা জজ আদালতে পৃথক পৃথক মোট ২১ (একুশ)টি উচ্ছেদ মামলা দায়ের করা হয়।

যুগ্ম জেলা জজ আদালত তিনটি মামলায় উচ্ছেদের রায় প্রদান করেন। (দেওয়ানী মামলা নং- ১৮/২০১৭ এর রায় গত ২৫/০৮/২০১৯ইং তারিখে প্রদান করা হয়, দেওয়ানী মামলা নং- ১২০/২০১৭ এর রায় গত ১২/০১/২০২০ইং তারিখে প্রদান করা হয় ও দেওয়ানী মামলা নং- ১২১/২০১৭ এর রায় গত ১২/০১/২০২০ইং তারিখে প্রদান করা হয়।

কিন্তু দখলদাররা এখনো দখল না ছেড়ে উল্টো মিথ্যা অপবাদের পাশাপাশি হুমকি দিচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক সমম্মেলন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন