নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সেনাবাহিনীর নবীন সৈনিকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে শপথ গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় দফায় এ সেন্টার থেকে প্রায় ৯শ ৬৯জন সৈনিক দীর্ঘ ৬ মাসের মৌলিক ট্রেনিং শেষে পদাতিক ডিভিশনে সৈনিক হিসেবে যোগ দিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মাইনী এ্যাডহক ফরমেশন রিক্রুটিং ট্রেনিং সেন্টারের প্যারেড গ্রাউন্ডে শপথ গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের জিওসি মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
নবীন সৈনিকরা স্ব স্ব ধর্মের গ্রন্থে হাত রেখে দেশ মাতৃকার জন্য জীবন উৎসর্গ, শৃঙ্খলা ও দায়িত্ব পালনের শপথ গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম অঞ্চলের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, মাতৃভূমির সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যে দায়িত্ব আপনারা নিয়েছেন তা পালনে প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান আপনাদের সহায়ক হবে। প্রতিটি মুর্হুতে নিজের আত্মবিশ্বাসকে সমন্নুত রাখতে হবে।
প্রশিক্ষণে সৈনিক বায়েজিদ খান সেরা নৈপুন্য প্রদর্শণ করে চৌকষ সৈনিক প্রথম ও জুনায়েদ উদ্দিন দ্বিতীয় হয়। আলফা কোম্পানী চ্যাম্পিয়ন, চার্লি ব্যাটালিয়ন রানার্স আপ হয়ে প্রধান অতিথির কাছ থেকে পুরস্কার ও ট্রফি গ্রহণ করেন।
এসময় অনুষ্ঠানে পাপা টাইগার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জগলুল আহমেদ, পাপা বীর ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল কাদের, খাগড়াছড়ির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মীর মুশফিকুর রহমান, গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, খাগড়াছড়ি ডিজিএফআই অধিনায়ক কর্ণেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. আলী আহমদ খান, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান প্রশিক্ষক লে. কর্ণেল তাজুল ইসলাম ও খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ষ্টাফ অফিসার মেজর মুজাহিদুল ইসলামসহ উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, সৈনিকদের আত্মীয় স্বজনসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর এ সেন্টার থেকে প্রায় ৭শ ৮২ জন সৈনিক দীর্ঘ ৬ মাসের মৌলিক ট্রেনিং শেষে পদাতিক ডিভিশনে সৈনিক হিসেবে যোগ দিয়েছেন।
