খাগড়াছড়িতে স্কুল শিক্ষিকার প্রেমের ফাঁদে স্বর্বশান্ত একাধিক পুরুষ

abducted-gang-rape-sm20130411062345

খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা:

বিয়ে পাগল সুন্দরী এক শিক্ষিকা পুরুষদের প্রতারনার ফাঁদে ফেলে অভিনব কায়দায় সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রথমে প্রেম ও মায়াজালে আটকিয়ে নগদ টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার লুট ও পরে মামলা মোকদ্দমার মাধ্যমে অবশিষ্ট দেনমোহরের মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনার জন্ম দিয়ে এলাকায় আলোচনার ঝড় তুলেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ শিক্ষিকা।

জানা যায়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাংগা উপজেলা ভইয়া পাড়ার মুক্তিযোদ্ধা মো: মোস্তফার মেয়ে জেসমিন আক্তার নিপা রূপ ও যৌবনের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মাত্র ২৫ বছর বয়সে চার স্বামীর ঘর শেষ করে পঞ্চম স্বামীর গলায় প্রতারণার মালা পরাতে যাচ্ছেন । তার এবারের শিকার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ৭ মার্চ তারিখে পরকিয়া প্রেমিক জনৈক হারুন-উর-রশিদের সাথে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকা অবস্থায় স্থানীয় জনতা তাদের হাতে নাতে আটক করে তবলছড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করে। আর এ সুবাদে পরিচয় ঘটে ঐ পুলিশ কর্মকর্তার সাথে। অর্থ লোভী ও প্রতারক এ শিক্ষিকা সুযোগ পেয়ে হাত ছাড়া করতে একটু ও দেরী করেননি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, পারিবারিকভাবে তার প্রথম বিয়ে হয় রামগড় প্রবাসী খালাত ভাই শামছুল হকের সাথে। বিয়ের দুই বছরের মাথায় তার ঘরে আসে একটি পুত্র সন্তান। স্বামী বিদেশ থাকার সুবাধে তিন বছরের মাথায় পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পরেন উক্ত শিক্ষিকা। স্বামীর দেয়া চার ভরি স্বর্ণালংকার ও বিদেশ থেকে পাঠানো প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে পরকিয়া প্রেমিক সেনা সদস্য জাকির হোসেনের হাত ধরে সন্তান ফেলে বাবার ঘরে আশ্রয় নেন তিনি। পরে স্বামীর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে মহোরানার টাকাও আদায় করে নেন জেসমিন আক্তার নিপা। এ অভিযোগ তার প্রথম স্বামী শামছুল হকের।

তার দ্বিতীয় বিয়েও পরকীয়া প্রেমের কারণে বেশী দিন টিকেনি। ফেনী পিটিআইতে প্রশিক্ষণ থাকাকালীন জনৈক শ্রী সুজন সেনের সাথে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকা অবস্থায় স্বামী জাকির হোসেনের সহযোগিতায় পুলিশ তাদের হাত নাতে আটক করে আদালতে পাঠায়। আদালতে ২৯০ ধারায় অপরাধ স্বীকার করায় তাদের ৫০ টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয় আদালত।( যার মামলা নং নন. জি আর ২৪৮/২০০৭)।

জাকির হোসেন জানান, জাতিসংঘের মিশনে গিয়ে ১০ লাখ টাকা আয় করেছি। এর সবই জেসমিন আক্তার ও তার বাবা নিয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, সে ও তার বাবা পরিকল্পিতভাবে প্রতারণার মাধ্যমে আমার অর্জিত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

একইভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সব কিছু হাতিয়ে নিয়েছে তার তৃতীয় স্বামী আনোযার হোসেনের সর্বস্ব। এবিষয়ে আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার কাছ থেকে সাত লাখ টাকা নেয়ার পর অন্য পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এ বিষয়ে বাঁধা প্রদান করায় সে ও তার বাবা মিলে আমার বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি চীফ জুডিসিয়াল আদালতে মিথ্যা যৌতুকের মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে আমি দেউলিয়া।

এ ব্যাপারে আলোচিত স্কুল শিক্ষিকার মন্তব্য জানার জন্য দুইদিন ধরে তার মোবাইলে ফোন করা হয়। কিন্তু তার দুইটি মোবাইল নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে আলোচিত এই শিক্ষিকার অব্যাহত অসামাজিক কাজ ও নৈতিকতা সরকারি চাকুরী বিধিমালার পরিপন্থি হলেও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় একের পর এক অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে উক্ত শিক্ষিকা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এদিকে উক্ত শিক্ষিকার এসকল অনৈতিক কাজ প্রাথমিক শিক্ষার জন্য কলংক জনক বিধায় অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ ও চাকুরী থেকে অপসারণের দাবী জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা ও এলাকাবাসী।

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

2 Replies to “খাগড়াছড়িতে স্কুল শিক্ষিকার প্রেমের ফাঁদে স্বর্বশান্ত একাধিক পুরুষ”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন