parbattanews

খাগড়াছড়িতে স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামী শাহ আলমকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত স্বামী শাহ আলম

যৌতুকের জন্য স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী শাহ আলমকে(৪৬) মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) খাগড়াছড়ি নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল বিচারক রেজা মো: আলমগীর হাসান এ রায় দেন। একই সাথে আদালত আসামীকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদনণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আদালত এ হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত নির্মম ও নিষ্ঠুর বলে মন্তব্য করেন। তবে আসামী এ রায়ের বিরুদ্ধে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে আপিল করতে পারবেন বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, বিয়ের পর থেকে যৌতুক লোভি স্বামী শাহ আলম তার স্ত্রীর উপর প্রায় নির্যাতন চালাতো। এ নিয়ে স্বামী শাহ আলমের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও হয়। পরে আসামীর অঙ্গীকার নামার মাধ্যমে মামলা প্রত্যাহার হলে আবারও যৌতুকের জন্য কোহিনুর বেগমের উপর নির্যাতন শুরু হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টার দিকে রোজার দিনে ক্লান্ত শুয়ে থাকা কোহিনুর বেগমের শরীরের কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় শাহ আলম এবং ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়।

তার চিৎকারে আশ পাশের লোকজন এগিয়ে এসে দগ্ধ কোহিনুর বেগমকে প্রথমে দীঘিনালা ও পরে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।অবস্থা আরো অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও ২৩ দিন পর ১ লা অক্টোবর কোহিনুর বেগম মারা যায়।

এ ঘটনায় কোহিনুর বেগমের ছোট ভাই আলম মিয়া ২০০৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দীঘিনালা থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ৯ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোপত্র দাখিল করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী এডভোকেট বিধান কানুনগো রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা দিয়েছে।

Exit mobile version