খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়ি জেলা সদরের শালবন এলাকায় সৎ বাবা কর্তৃক মেয়ে ধর্ষনের শিকার হয়েছে । সে চট্টগ্রাম জেলা ফটিকছড়ি উপজেলার বাসিন্দা মো.রফিক মিঞার মেয়ে রেশমা আক্তার(১২)।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে জেলার পৌর শালবন শাপলা চত্বর এলাকায় ভাড়াটিয়া বাড়ীতে সৎ বাবার হাতে এ ধর্ষণের শিকার হয়।
মেয়ের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে সৎ বাবা নুরুন্নবী(৫০) কে হাতে নাতে ধরে ফেলে। ধর্ষণের শিকার রেশমা আক্তারকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশের একটি টিম তদন্ত স্বাপেক্ষে ধর্ষক মো. নরুন্নবীকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুরে ধর্ষিতা রেশমা আক্তারের আর্তচিৎকার শুনতে পেয়ে এগিয়ে আসলে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে অনেক ডাকার পরও না শুনায় পাশের জানালা দিয়ে দেখতে পায় ধস্তা ধস্তি হচ্ছে। তখন এলাকার মো, মুসা জানালা দিয়ে দরজা খুলে দিলে এলাকাবাসীরা ধর্ষককে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
গৃহিনী সবিতা বলেন, দু’দিন আগে থেকেও সৎ পিতা নুরুন্নবী গতিবিধি ঠিক দেখিনি । রাতেও সে মেয়েটিকে নেশা জাতীয় সেক্সচ্যুয়াল ঔষুধ খাওনোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ এক হাজার টাকা লোভ দেখিয়েও রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষিতার মা জাহানারা বেগম বলেন, আমার মেয়ে রেশমা আক্তার চট্টগ্রাম ফটিকছড়িতে তার বাবার কাছে থাকে। খাগড়াছড়িতে রেশমা আক্তার বেড়াতে এসেছে। চট্টগ্রাম শিশু একাডেমির নির্মাণাধীন প্রকল্পের শ্রমিকদের রান্নার কাজ করার কাজে সকালে বাসা থেকে বের হয়ে যাই। দুপুরে এ ঘটনা শুনে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাধীন দেখতে পাই।
সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. রইস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ধর্ষক সৎ পিতা মো. নুরুন্নবীকে আটক করা হয়েছে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর সত্যতা প্রমাণ পাওয়ায় থানায় মামলা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা হয়েছে। যার মামলা নং ০৫ তারিখ ০৫-০৫-২০১৬খ্রি:।
ধর্ষিতা রেশমাকে খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে মেডিক্যাল চেকাপের জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
