parbattanews

খাগড়াছড়িতে ৭ দিনব্যাপী বৈসাবি মেলার উদ্বোধন করলেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি

11149071_804006273026995_1051947635_n

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :
বর্ণিল পোষাকের পাহাড়ী তরুণ-তরুণী ছাড়াও বিভিন্ন বয়সের নানা জাতি-গোষ্ঠীর বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য র‌্যালির মাধ্যমে খাগড়াছড়িতে শুরু হয়েছে চাকমা-মারমা-ত্রিপুরা জনগোষ্ঠির প্রাণের উৎসব বৈসাবী মেলা। জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে বর্ণাঢ্য র‌্যালিটি খাগড়াছড়ি সরকারী হাই স্কুল মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এসময় খাগড়াছড়ি জেলা শহর পরিণত হয় উৎসবের শহরে।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে শনিবার সকালে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলার শীর্ষ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সাতদিন ব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল স ম মাহবুব-উল-আলম, গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: তোফায়েল আহমেদ পিএসসি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার শেখ মো: মিজানুর রহমান, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সালাউদ্দিন, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো: রফিকুল আলম, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আব্দুর রহমান তরফদার ও খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

১৯৮৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসরত চাকমা-মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠন সম্মিলিত ভাবে ‘বৈসাবি’ এ উসব পালন করে আসছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে স্ব-স্ব সম্প্রদায়ের লোকজনের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ‘বৈসাবী’।

মূলত: রোববার চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে শুরু হবে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবী। ১২ এপ্রিল চাকমা সম্প্রদায় স্বাড়ম্বরে পালন করবে ফুল বিঝু। ১৩ এপ্রিল মূল বিঝু আর পহেলা বৈশাখ বা গোজ্যা পোজ্যা পালন করবে। ওই দিন ঘরে ঘরে চলবে অতিথি আপ্যায়ন। সেই সঙ্গে সব বয়সী মানুষ নদী খাল অথবা ঝর্ণায় গঙ্গা দেবীর পূজা আরাধনা করবে। ১৩ এপ্রিল ত্রিপুরা সম্প্রদায় পালন করবে চৈত্র সংক্রান্তি। এদিন গ্রামে গ্রামে চলবে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠির ঐতিহ্যবাহী গড়িয়া নৃত্য।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাত দিনব্যাপী বৈসাবী মেলার মধ্য থাকছে, ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা, ঐতিহ্যবাহী বলি খেলা, দেশী-বিদেশী শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গুণীজন সংবর্ধনা ও খাগড়াছড়ি রিজিয়নের পরিচালনায় আনন্দ কনসার্ট।

এছাড়াও ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ষবরণ ও মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসবে ঐতিহ্যবাহী ওয়াটার ফেস্টিভেল বা পানি উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

Exit mobile version