parbattanews

খাগড়াছড়ির রামগড়ে অবরোধকারীদের পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও পুলিশের পাল্টা গুলিবর্ষণ

Khagrachari Picture(01) 05-06-2017

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

ইউপিডিএফের ডাকে অবরোধ চলাকালে খাগড়াছড়ির রামগড়ে অবরোধকারীদের পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও পুলিশের পাল্টা ১৫ রাউন্ড শর্টগানে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, সোমবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে খাগড়াছড়ি-রামগড় সড়কের যৌথ খামার এলাকায় অবরোধকারী রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কয়েকটি নৈশকোট আটকে দেয়।

এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে অবরোধকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ৩/৪টি পেট্রোল ও ইট ছোড়ে। পুলিশ পাল্টা ১৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। এ সময় শান্তি পরিবহনের একটি গাড়ীর কাচ ভেঙ্গে কয়েকজন যাত্রী আহত হয়।

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি ও লংগদুতে পাহাড়ি গ্রামে হামলার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ সমর্থিত তিন পাহাড়ি সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম খাগড়াছড়িতে অর্ধ দিবস সড়ক অবরোধের ডাক দেয়।

অবরোধের কারণে জেলার আভ্যন্তীরণ ও দুরপাল্লা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে শহরে রিক্সা ও ইজিবাইক চলাচল করতে দেখা যায়। অবরোধ আহবানকারিরা সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকায় টায়ার পুড়িয়ে সড়কে অবরোধ তৈরি করে। শহরের স্বনির্ভর, চেঙ্গীব্রিজসহ কয়েকটি স্থানে পিকেটিং চোখে পড়ে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা জুড়ে সর্তকতাবস্থায় রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন হত্যাকান্ডের জেরে রাঙামাটির লংগদুতে পাহাড়ি গ্রামে হামলা ও অগিন্সংযোগের প্রতিবাদে রবিবার খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা চালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল থেকে দীঘিনালা উপজেলা শাখার সভাপতি নিকেল চাকমা, সাধারণ সম্পাদক জীবন চাকমাকে আটক করার প্রতিবাদে রবিবার সন্ধ্যায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক সমর চাকমা  স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সড়ক অবরোধের ডাক দেয়।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামসুউদ্দিন ভূইয়া জানান, আটক দীঘিনালা উপজেলা শাখার সভাপতি নিকেল চাকমা, ও সাধারণ সম্পাদক জীবন চাকমা মামলার আসামী। এদের আজ আদালতে তোলা হবে। আকস্মিক সড়ক অবরোধের কারণে চরম বিপাকে পড়ে ঢাকা থেকে নৈশকোচে আসা যাত্রীরা।

Exit mobile version