এম. সাইফুর রহমান, খাগড়াছড়ি ॥
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় সাম্প্রতিককালে মোটর সাইকেল চুরির হিড়িক পড়েছে। বাসাবাড়ীতে হানা দিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে তালা ভেঙে, দরজা বা গ্লীল কেটে নিয়ে যাচ্ছে দামী সব মোটর সাইকেল।
দিনের বেলায় কোথায়ও রেখে গেলে মুর্হুর্তে সংঘবন্ধ চক্র হাওয়া করে দিচ্ছে। এ থেকে বাদ পড়েনি থানা পুলিশ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী এবং সেবাদানকারী স্বাস্থ্যকর্মীর মটর সাইকেল পর্যন্ত। গত এক মাসে থানা পুলিশের এক এস.আইসহ ১৫ জনের মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে রামগড় পৌরভবন থেকে একটি চোরাই মটর সাইকেল উদ্ধার করেছে রামগড় থানা পুলিশ। গাড়ী উদ্ধার হলেও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। যদিও অভিযোগের তীর পৌর মেয়র মো: শাহজাহান প্রকাশ কাজী রিপনের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, গত জুলাই মাসে সোনাইপুল এলাকার বাসা থেকে কাজী জিয়াউল হক সিপনের কালো রঙ্গের বাজাজ ১৫০ সিসির (খাগড়াছড়ি ল-১১-০১২৫) মোটর সাইকেলটি চুরি হয়। বহু খোজাখুজির পরও না পেয়ে গত ১৫ অক্টোবর রামগড় থানায় একটি জিড়ি করা হয়। জিডির ভিত্তিতে রামগড় থানার এসআই মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বৃহস্পতিবার রাতে রামগড় পৌর ভবনের তালাবন্ধ স্বাস্থ্য শাখা থেকে মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করে। এ সময় পৌরসভার কাউন্সিলর ফারুকশাহসহ পৌর কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পৌরসভার ক্যাশিয়ার দেলোয়ার ও কর্মচারীরা জানান, পৌর মেয়রের নির্দেশে গাড়ীটি প্রথমে নিচের একটি রুমে পরে স্বাস্থ্য শাখায় তালাবন্ধ করে রাখা হয়।
বহু চেষ্টা করেও পৌর মেয়র মো: শাহজাহান প্রকাশ কাজী রিপনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। হোন্ডার মালিক কাজী জিয়াউল হক সিপন হোন্ডা উদ্ধারের পাশাপাশি চোরকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।
রামগড় থানার অফিসার ইনচাজ জোবায়েরুল হক পৌর ভবন থেকে চোরাই হোন্ডা উদ্ধারের কথা স্বীকার করে জানান, আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে মালিককে গাড়ীটি বুঝিয়ে দেয়া হবে।
রামগড় কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল জানান, সাম্প্রতিককালে হোন্ডাচুরির বিষয়টি আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের এক সভায়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জনগনকে সজাগ থাকার পাশাপাশি পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।