parbattanews

খাগড়াছড়ির শাহেদ আরমান বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার

৩৮তম বিসিএসের চুড়পন্ত ফলাফলে প্রশাসনে ক্যাডারে (বিসিএস-এডমিন) সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ির শাহেদ আরমান।

দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে গিয়ে শাহেদ আরমান বলেন, ‘সেই ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি করব। প্রিয় দেশ ও দেশের মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করব। আল্লাহ আমার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায় করে এভাবেই কথাগুলো বললেন ৩৮ তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ির সন্তান শাহেদ আরমান।

প্রশাসনের ক্যাডারে নতুন মুখ শাহেদ আরমান খাগড়াছড়ি জেলা সদরে টিঅ্যান্ডটি গেট এলাকার বাসিন্দা মো. সাইফুল্লা ও আরজুমান আকতারের বড় ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় শাহেদ আরমান।

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) থেকে ইলেক্ট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক শেষ করে বিসিএস দিয়েই বাজিমাত করলেন।

শাহেদ আরমান’র বাবা মো. সাইফুল্লাহ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নাজির (উচ্চমান সহকারী) ও মা আরজুমান আক্তার টিঅ্যান্ডটি গেট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।

শাহেদ আরমান’র অপর দুই ভাইয়ের একজন শিফাত আরমান ঢাকা কলেজে প্রথম বর্ষে আর অন্যজন খাগড়াছড়ি নতুন কুঁড়ি ক্যান্টনমেন্ট হাইস্কুলে ৫ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত।

শাহেদ আরমান খাগড়াছড়ি নতুন কুঁড়ি ক্যান্টনমেন্ট হাইস্কুল থেকে ২০১০ সালে এসএসসি, ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে ২০১২ এইচএসসি ও ইসলামীক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) থেকে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রী অর্জন করেন। একই প্রতিষ্ঠানে স্নাতকোত্তর করছেন পাহাড়ের মেধাবী মুখ শাহেদ আরমান।

মা-বাবার ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণায় স্বপ্নচূড়া স্পর্শ করেছেন জানিয়ে শাহেদ আরমান বলেন, বিসিএস আমার স্বপ্ন ছিল। আজ আমার যা প্রাপ্তি সবটুকু আমার মা-বাবার জন্যই পেয়েছি। আমি মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত রাখতে চাই। অসামান্য পরিশ্রমের পর এমন ফলাফল পেয়ে খুব ভালো লাগছে। এমন অর্জন পরিবার ও নিজের জন্য অনেক সম্মানের।

ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাবা মো. সাইল্লাহ বলেন, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এ প্রাপ্তি আমাদের পরিবারের জন্য অনেক বড় অর্জন। সন্তাননের এমন অর্জন আমাদের পরিবারের আনন্দকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সন্তানের এ অর্জনে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

Exit mobile version