খাগড়াছড়ি অচিরেই উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত হবে- যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

06.09.2013_Comunication Minister Pic

মুজিবুর রহমান ভুইয়া, খাগড়াছড়ি থেকে :

যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খাগড়াছড়ি অচিরেই উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত হবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে সেতুগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তখন খাগড়াছড়ির সাথে দেশের বিভিন্ন জেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হবে। তিনি বলেন, খাগড়াছড়ি জেলাকে লক্ষ্য করেই আমরা এগুচ্ছি। সেতৃগুলোর নির্মান কাজ শেষ হলে আমরা আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছাবো।

এসময় তিনি বলেন, ফটিকছড়ি থেকে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত ১৬টি সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি সেতু সম্পুর্ন সরকারী অর্থে আর জাপন ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকার অর্থায়নে ৭টি সেতু নির্মান কাজ চলছে।

তিনি আজ শুক্রবার সকালে হাটহাজারী-ফটিকছড়ি-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন ১৪ সেতুর নির্মাণ কাজের শুভ সুচনাকালে উপরোক্ত কথা বলেন।

তিনি বলেন, পাহাড় ও সমতলের জেলার মধ্যে বিদ্যমান উন্নয়ন বৈষম্য দূর হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। পাহাড়ি অঞ্চলকে দেশের মূল সড়কের সঙ্গে যুক্ত করতে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি পাহাড়বাসীর উন্নয়নে পাহাড়ী-বাঙ্গালী সকলকে খোলামন নিয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে বলেন, দ্বন্দ-সংঘাত উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আগামী ২ বছরের মধ্যে এই সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। তারই অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছেন।

পরে মন্ত্রী খাগড়াছড়ি যাবার পথে মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদরে স্থানীয় জনগনের সাথে কথা বলেন। এসময় মাটিরাঙ্গা-তানাক্কাপাড়া সড়কের বেহাল দশার বিষয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন, শান্তিচুক্তির কারনে পার্বত্য জেলা পরিষদ সড়কটির দায়িত্ব নিয়ে যায়। কিন্তু তাদের প্রয়োজণীয় লোকবল ও সরঞ্জাম না থাকায় তাদের পক্ষে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। আমি জনগনের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমি তাদেরকে বলেছি আমার রাস্তা আমাকে ফিরিয়ে দাও। কয়েকদিন আগে তারা সড়কটি আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। অচিরেই রাস্তাটির কাজ শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি। তবে তিনি বলেন, জেলা পরিষদ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষনাবেক্ষন করার মতো সক্ষমতা অর্জণ করতে পারলেই আমার আবার তাদেরকে সড়ক বিভাগের দায়িত্ব ফিরিয়ে দেব।

এসময় তার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বীর বাহাদুর এমপি ও পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ সরকার ও জাইকা‘র অর্থায়নে ইস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রীজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের (ইবিবিআইপি) অধীনে সড়ক ও জনপদ বিভাগ সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে।  সেতুগুলোর নির্মাণ ব্যায় দাড়াবে প্রায় ১শ ২১ কোটি টাকা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন