parbattanews

খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাংবাদিক সম্মেলনে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

পার্বত্য চট্টগ্রাম টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপিকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগের সুদৃঢ় অবস্থানকে দুর্বল করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) জেলা সদর ছাড়াও সকল উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ আহবান করা হয়।

একটি জাতীয় দৈনিকে (দৈনিক যুগান্তরে) প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদে রবিবার(৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এমন অভিযোগ করেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি চিহিৃত অপশক্তি অপ-তৎপরতা শুরু করেছে। নানামুখী প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দুয়েক পত্রিকায় মিথ্যা, ভিত্তিহীন,মনগড়া,বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ ছাপানো হয়েছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে নিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী। সাংবাদিক সম্মেলনে দলের নেতৃত্বে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা ও মনগড়া সংবাদের প্রতিবাদ লিপি প্রকাশ না করলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানানো হয়।

সাংবাদিক সম্মেলনে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু বলেন, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা দলের দু:সময়ে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। জায়গা-সম্পত্তি বিক্রি করে দলের নেতাকর্মীদের পিছনে খরচ করেছেন।

তিনি প্রকাশিত সংবাদে আওয়ামী লীগ নেতা হিসাবে পরিচয়দানকারী মো. রফিকুল আলমকে আওয়ামী লীগের কেউই নন দাবী করে বলেন, তিনি দুই দুইবার পৌরসভা নির্বাচনের দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। তিনি পৌরসভার মেয়র থাকাকালে পুরো জেলায় উন্নয়ন ঠিকাদারী, হাট-বাজার, টোল-বালু-নিলামে একক নিয়ন্ত্রক ছিলেন। তার বড় ভাই জাহিদুল আলম ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। যার কারণে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ থেকে বহি:স্কৃত হয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা ও সহ-সভাপতি মাটিরাঙা পৌরসভার মেয়র মো. সামসুল হকের উদৃত্তি দিয়ে সংবাদে প্রকাশিত তথ্যগুলোকে অবন্তার ও মিথ্যা-বানোয়াট বলে প্রত্যাখান করেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বডুয়া, সহ-সভাপতি মনীর খান, যুগ্ম সম্পাদক এড.আশুতোষ চাকমা, মংক্যচিং চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল, দপ্তর সম্পাদক চন্দন কুমার দে, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শানে আলম, দীঘিনালা উপজেলা চেয়ারম্যান মো.কাসেমসহ জেলা পরিষদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি ভিডিওতে দেখুন:

Exit mobile version