parbattanews

খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারে পর্নোগ্রাফি মামলার আসামির মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন

খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারে মিলন বিকাশ ত্রিপুরা (২৬) নামে পর্নোগ্রাফি মামলার আসামি মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন। একটি খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপরটি কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটি দুটিকে তিন ও পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি কারাগারের জেল সুপার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজ্জাদ হোসেন।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিনিয়া চাকমা ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মিটন চাকমা। কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।

অপর দিকে কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে রাঙ্গামাটির জেলা কারাগারের জেল সুপার মতিউর রহমানকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটির অপর সদস্যরা হচ্ছেন, বান্দরবান কারাগারের জেলার ফোরকান ওয়াহিদ, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী সার্জন ডা. শামিম রেজা। এ কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২৮ মে) সকালে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের টয়লেটের ভেন্টিলেটরের রডে ঝুলন্ত অবস্থায় মিলন বিকাশ ত্রিপুরা (২৬)র মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মিলন রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার অরুন পাড়া এলাকার মনসারাই ত্রিপুরার ছেলে। ওই দিন বিকালে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পারিবারিকভাবে তার দাহক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

ঘটনার পর কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন গলায় গামছা পেচিয়ে মিলন আত্মহত্যা করেছে। গত ১৬ মে খাগড়াছড়ির গুইমারা থানায় দায়ের করা একটি পর্নোগ্রাফি মামলায় মিলনকে আটক করা হয়। পরের দিন ১৭মে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সেই থেকে মিলন কারাগারে ছিল।

Exit mobile version