parbattanews

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের কর্মচারীর বিদ্যুতের খুঁটি ও সংযোগ বাণিজ্য

মো: আবু তাহের। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অফিস সহায়ক। তার বিরুদ্ধে যেন অভিযোগের অন্ত নেই। তিনি জেলা পরিষদের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী হলেও হাত অনেক লম্বা। বেশ দাপুটে।

তার বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও মাটিরাঙায় বিদ্যুতের খুঁটি ও সংযোগ বাণিজ্য করে সাধারণ জনগণ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। জেলা পরিষদ থেকে করা হয়েছে কফিয়ত তলব।

অভিযোগ রয়েছে, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী আবু তাহের মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া গ্রামের ২০-২৫ পরিবারের কাছ থেকে বিদ্যুৎয়ের খুঁটি দেয়ার নাম করে স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগিতায় ১০ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়।

চলতি বছরের মার্চ মাসে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা।

মাটিরাঙ্গার মধ্যপাড়ার দেলোয়ার হোসেন জানান, জেলা পরিষদের কর্মচারী আবু তাহের স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগিতায় গত ৪ বছর আগে বিদ্যুৎ সংযোগ দিবে বলে খরচের টাকা খোঁজে। গ্রামে ২০-২২ পরিবার যার যার সাধ্যমতে টাকা তুলে তাদের হাতে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেয়।

৪ বছর অতিবাহিত হলেও তাদের দেয়া বিদ্যুৎ পায়নি তারা। টাকা ফেরত চাওয়ায় এখন উল্টো হুমকি দিচ্ছে।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. মোস্তফা জানান, সরকার যেখানে বিনামূল্যে বিদ্যুৎয়ের খুঁটি দিচ্ছে সেখানে লাখ লাখ টাকা কেন দিতে হবে জনগণকে। জেলা পরিষদের কর্মচারী আবু তাহেরসহ কয়েকজন মিলে মধ্যপাড়ার বেশকিছু পরিবারের কাছ থেকে বিদ্যুৎতের খুঁটি ও সংযোগ দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকবার বিচার সালিশও হয়েছে।

শুধু মাটিরাঙায় নয়, খাগড়াছড়ি পৌর শহরের সবুজবাগ এলাকা থেকে বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আবু তাহের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভীষণ কান্তি দাস জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশলী মনির হোসেনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। ঘটনার সত্যতা মিললে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অপর একটি সূত্র জানায়, অভিযোগের প্রেক্ষিতে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদও পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসাকে প্রধান করে এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। পাশাপাশি আবু তাহেরকে কফিয়ত তলব করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জেলা পরিষদের আবু তাহের মুঠোফোনে বলেন, তিনি কোন ঘটনার সাথে জড়িত না।

Exit mobile version