parbattanews

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে মানিকছড়ির তিনজন সদস্য

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য নিয়োগে এবার মানিকছড়ি উপজেলার তিন কৃতি সন্তান ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় আনন্দ-উল্লাসে ভাসছে উপজেলাবাসী।

জানা গেছে, পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনের সর্বশেষ সংশোধনী মোতাবেক ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের চেয়ারম্যানসহ মোট সদস্য সংখ্যা ৫ থেকে ১৫-তে উন্নীত করে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করে সরকার। এরপর দীর্ঘ ৫ বছর ৮ মাস ১৫ দিন পর ১০ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব কাজল কান্তি ভৌমিক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠনের কথা জানানো হয়। ফলে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পুনর্গঠনে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন উদীয়মান আ’লীগ নেতা মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।

আর অপর ১৪ জন সদস্যের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করেন মানিকছড়ি উপজেলা। রাজনীতি ও সমাজ নির্মাণের জাদুকরে ভরা মংরাজার আবাসস্থল মানিকছড়ি’র তিন বর্ষীয়াণ রাজনৈতিক কর্মী, আওয়ামী পরিবারের বাতিঘর ও অভিভাবক জেলা পরিষদে সদস্য মনোনিত হয়েছেন। এদের একজন সেই ৯০দশকের রাজপথ কাঁপানো ছাত্রনেতা ছাত্রলীগের সাবেক সফল সভাপতি ও দুই, দুই বারের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং প্রেসক্লাব সভাপতি মো. মাঈন উদ্দীন অপর জন হলেন, সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সফল উপজেল চেয়ারম্যান, বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য এমএ. জব্বার এবং জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগ সদস্য, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা আক্তার।

এই তিন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও দক্ষ সংগঠক পুনর্গঠিত জেলা পরিষদে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করে জনপদে বাজিমাত সৃষ্টি করেছেন। গত এক সপ্তাহব্যাপী অঘোষিতভাবে এই সংবাদ ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়ায় প্রত্যেকের ফেইসবুক ওয়ালে ওয়ালে শোভা পাচ্ছে অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা।

১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারির খবরে উপজেলা সর্বত্র আনন্দের বন্যা বইছে। সন্ধ্যার পর প্রথমে প্রেসক্লাবে এবং পরে দলীয় অফিসে দলে দলে দলীয় নেতা-কর্মীরা নির্বাচিতদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে ভীড় জমায়। এ সময় নির্বাচিতরা এই সফলতার জন্য আ’লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা ও জেলা আওয়ামী লীগের অভিভাবক কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার(এম.পি) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

Exit mobile version