খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীকে সতর্ক করলেন ইউপিডিএফ সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

প্রেস ব্রিফিং-এ দেওয়া খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর বক্তব্যকে ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত, নিজেদের কোন্দল ও অপকর্মে ইউপিডিএফ’কে না জড়াতে সতর্ক করে বিবৃতি দিয়েছে, ইউপিডিএফভুক্ত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের (ডিওয়ইএফ) কেন্দ্রীয় সভাপতি অংগ্য মারমা।

সোমবার সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে ইউপিডিএফভুক্ত গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়ইএফ)-এর সভাপতি ও মুখপাত্র অংগ্য মারমা খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীকে বিতর্কিত ব্যক্তি এবং তার বক্তব্যকে যারপরনাই মিথ্যাচার, আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ব্যক্তির ষড়যন্ত্র অপপ্রচারের মাধ্যমে গদি আঁকড়ে থাকার নির্লজ্জ প্রয়াস বলে দাবি করেন।

বিবৃতিতে তিনি জেলা পরিষদকে ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্রীড়নক ও দালাল পুনর্বাসন কেন্দ্র’ আখ্যায়িত করে বলেন, ‘শুধু শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যে কোটি কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ নয়; জেলা পরিষদের অনুকূলে এলাকার উন্নয়ন ও বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক বাৎসরিক যে শত কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দ থাকে, তার সিংহভাগ লুটপাটের মাধ্যমে আত্মসাত করে জেলা পরিষদের লোকজন, যারা সরকারের দ্বারা মনোনীত কর্মচারির মত, জনপ্রতিনিধি নয়।

ইউপিডিএফভুক্ত সংগঠনের মুখপাত্র বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘সরকারের ক্রীড়নক কংজরী চৌধুরী নিজের কুকর্ম আড়াল করতে এবং দলীয় অনুকম্পা লাভের আশায় চালাকি ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ইউপিডিএফ’কে ‘রাষ্ট্রবিরোধী সংগঠন’ বলেছেন, যা একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর কণ্ঠের প্রতিধ্বণি মাত্র। তা অত্যন্ত আপত্তিজনক, ইউপিডিএফভুক্ত সকল সংগঠন তার নিন্দা জানায়।

জেলার চিহ্নিত উগ্র সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীর সাথে ইউপিডিএফ’কে জড়ানো মানসিক ভারসাম্যহীনতারই প্রতিফলন মন্তব্য করে বিবৃতিতে এও স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়, ‘শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম নয় জাতীয়ভাবেও ইউপিডিএফ-এর নীতিগত অবস্থান অত্যন্ত সুস্পষ্ট। দালালি আপোষকামিতা ও প্রতিক্রিয়াশীলতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে এ পার্টি গড়ে উঠেছে। এ পার্টি কখনই দুর্নীতিবাজদের ছাড় দেয় নি।’

বিবৃতিতে নিজেদের স্বার্থগত দলীয় কোন্দল বা অপকর্ম আড়াল করতে ইউপিডিএফ’কে জড়িয়ে কাল্পনিক বক্তব্য প্রদান করে বিভ্রান্তি না ছড়াতে কংজরী চৌধুরীকে সতর্কীকরণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ি পার্বত্য  জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী রবিবার এক প্রেস ব্রিফিং-এ  বলেন, অন্যায় ও অযৌতিক দাবি না মানায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম ও ইউপিডিএফ নেতারা মিলে সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিয়ে তাদের শপথ ভঙ্গ হয়েছে। তিনি রাষ্ট্র বিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফর সাথে আতাঁত করে আওয়ামী লীগ দাবি করা মেয়র রফিকুল আলম সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। যে ইউপিডিএফ ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে পণ্ড করতে কর্মসূচি দিয়েছিল সে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের সাথে মেয়র রফিকুল আলমের মিলে যাওয়ায় প্রমাণ করে সে কোন ঘরনার আওয়ামী লীগ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন