parbattanews

খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মেয়ের নম্বর বাড়িয়ে এ প্লাস করার সত্যতা পেয়েছে দুদক

image_47007

পার্বত্যনিউজ রিপোর্ট :

খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমেন্দ্র নাথ পোদ্দারের বিরুদ্ধে তার মেয়ের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার উত্তরপত্রে নম্বর বাড়িয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের সত্যতা খুঁজে পেয়েছে দুদক।

এর আগে চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (উপ-পরিচালক) মাহাবুবুর রহমান বিল্লাহ এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মিজানুর রহমান মোল্লা পৃথক তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তাদের তদন্তেও অভিযোগের সত্যতা পেয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেওয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এদিকে রমেন্দ্রনাথ পোদ্দারকে তাৎক্ষণিক বদলি করে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংযুক্তির জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল তার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংযুক্তির শেষ দিন। প্রসঙ্গত, ‘নিজের মেয়ের নাম্বার বাড়িয়ে এ+ করলেন শিক্ষা অফিসার’ শিরোনামে গত বছরের ডিসেম্বরে পার্বত্যনিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য দুদক এর রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ১১ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা রিসোর্স ইনস্ট্রাক্টরসহ ২৫ জন পরীক্ষক, নিরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষককে ডেকে দুদকের রাঙামাটি আঞ্চলিক কার্যালয়ে সাক্ষ্য নেওয়া হয়। তার আগে রাঙামাটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজুল ইসলাম সরেজমিনে কয়েকজনের সাথে কথা বলেন এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ১৮৭টি খাতার ফটোকপি সংগ্রহ করেন। দুদক‘র উপ-সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজুল ইসলাম জানান, কাগজপত্র পর্যালাচনা এবং সাক্ষ্যগ্রহণ থেকে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, ‘এটি ক্ষমতার অপব্যবহারের অপরাধ। যথাশীঘ্রই এবিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হবে এবং কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘ সাক্ষ্য গ্রহণের সময় খাগড়াছড়ি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছিলেন তিনি যা করেছেন তা শুধু তার মেয়ের জন্য নয়, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে করেছিলেন।’ এ ব্যাপারে রমেন্দ্রনাথ পোদ্দার মুঠোফোনে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মেয়ে বৃষ্টি পোদ্দার জেলার সদর উপজেলার নতুনকুঁড়ি ক্যান্টনমেন্ট হাই স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দিয়েছিল। ক্ষমতার অপব্যবহার করে মেয়ের খাতায় নম্বর বাড়ানো হয়। পরীক্ষায় বৃষ্টি পোদ্দার বাংলায় ৬৩ পেলেও তা বাড়িয়ে ৮০ করা হয়, গণিতে ৬৭ থেকে বাড়িয়ে ৮০ করা হয়, ইংরেজিতে ৬৭ থেকে বাড়িয়ে ৯৪ করা হয় এবং বিজ্ঞানে ৭৫ থেকে বাড়িয়ে ৯৪ করা হয় ।

Exit mobile version