parbattanews

খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় তামাক চাষে বেড়ে চলছে শিশু শ্রম

 

আল-মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :

খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলায় সর্বত্র শিশু শ্রম উদ্বেগজনক হারে দিন দিন বেড়েই চলছে। এলাকার বিভিন্ন চা দোকান, বেকারী থেকে শুরু করে এমনকি বিষাক্ত নিকোটিন সমৃদ্ধ তামাক পাতা সংগ্রহ করার কাজে প্রাথমিক ও হাইস্কুল পড়ুয়া ছাত্ররা বিদ্যালয়ে না গিয়ে সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে কাজ করে যাচ্ছে। অজ্ঞ চাষিরা নিজেদের এবং অন্যের ছোট ছোট শিশু দিয়ে তামাকের কাজে ব্যবহার করছে । তারা তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানার পরও শিশুদের এই কাজে ব্যবহার করছে।

সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য উন্নয়নমূলক কিছু কর্মসূচির কথা বলা থাকলেও শিশু শ্রম বন্ধের প্রতিষ্ঠানগুলোর তেমন কোন উদ্যোগ লক্ষণীয় নয়। নেই কোন আইনি পদক্ষেপ । শুধু পারিবারিক দারিদ্র মোচনের জন্য এসব স্কুলে পড়া শিশুরা পড়াশুনা বাদ দিয়ে এইসব কাজে লিপ্ত হচ্ছে।

শিশু শ্রম বন্ধের কঠোর আইন থাকলেও তা প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন না থাকায় তা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন সুশীল সমাজ। তাদের মতে, শিশু শ্রম বন্ধের জন্য সরকারী প্রতিনিধি সমন্বয় একটি শক্তিশালী কমিশন গঠন করে এবং নিরব বিছিন্ন পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তাহলে এটা বন্ধ করা সম্ভব হবে। যারা শিশুদেরকে শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করে তাদেরকে সচেতন করতে সরকারী ভাবে নোটিশ জারি করতে হবে অথবা প্রয়োজন হলে জরিমানা বিধান রাখতে হবে। আর সরকারী সংস্থার পাশাপাশি এনজিগুলো ঋণ কার্যক্রমের পাশাপশি শিশুদের নিয়ে কাজ করতে হবে। এ ছাড়াও শিশুরা কর্মস্থলে বড়দের দ্বারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।

দীঘিনালা উপজেলায় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তামাক কাজে নারী-পুরুষের পাশাপাশি স্কুল পড়ুয়া শিশু কিশোররা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তামাক পাতা সংগ্রহ কাজে করছে। তামাকের ক্ষতিকর দিক সর্ম্পকে তারা জানেনা। জাতীয় শিশুশ্রম নীতি-২০১১ অনুযায়ী ৫ থেকে ১৭ বছর ১১ মাস বয়সের শিশুরা কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে পারবে না। ৫ থেকে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু শ্রম দন্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু এই আইন শুধু কাগজ কলমেই, বাস্তবে কোন প্রয়োগ নেই।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এসব কাজে নিয়োজিত শিশুরা বেশির ভাগ মানসিক শারীরিকসহ নানা ঝুঁকির মধ্যে জীবন যাপন করেছে।

Exit mobile version