parbattanews

খাগড়াছড়ি পৌরসভায় আরোপিত মাত্রারিক্ত কর প্রত্যাহারে এক মাসের আল্টিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়ি পৌরসভায় আরোপিত মাত্রারিক্ত কর প্রত্যাহারে এক মাসের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় আন্দোলনের পাশাপাশি আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।

শবিরার বিকালে খাগড়াছড়ি অফিসার ক্লাব অডিটরিয়ামে খাগড়াছড়ি পৌরসভায় অতিরিক্ত কর আদায়ের বিষয়ে সচেতন পৌরবাসীর ব্যানারে ডাকা সভা থেকে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

সচেতন পৌরবাসী কমিটির আহ্বায়ক মো. শানে আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিমিনয় সভায় বক্তব্য রাখেন, শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. সুধীন চন্দ্র চাকমা, প্রফেসর মধু মঙ্গল চাকমা, প্রবীন রাজনৈতিক বিদ নুরুন্নবী চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মনির হোসেন খান, জেলা কৃষক দলের সভাপতি আব্দুল গফুর তালুকদার, মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট মহিউদ্দিন, ব্যবসায়ী নেতা ফজলুল হক, তপন কান্তি দে. গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সভাপাতি যতন কুমার ত্রিপুরা, সচেতন পৌরবাসী কমিটির  সদস্য সচিব মেহেদী হাসান হেলালসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও পৌরসভার নাগরিকবৃন্দ।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, মান সম্মত সেবা নিশ্চিত না করে বাৎসরিক মূল্যায়নের নামে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মাত্রারিক্ত দুই থেকে সাত গুন কর বৃদ্ধি করা হয়েছে। অথচ পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় কোথাও কোথাও রাস্তা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কোথাও সৃষ্টি হয়েছে ছোটখাট ছড়ার। বিশেষ করে পৌর শহরের নিউজিল্যান্ড, মিলনপুর, খবংপুড়িয়া, টেটুল তলা ও  সবুজবাগ সড়ক দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এখন সড়কের অস্থিত্ব প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। এতে করে জনদূর্ভোগ বাড়ছে।

মতবিনিময় সভায় প্রফেসর ড. সুধীন কুমার চাকমা আরোপিত মাত্রারিক্ত কর আগামী এক মাসের মধ্যে প্রত্যাহারে দাবি জানিয়ে বলেন, অন্যথায় পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচির পাশাপাশি আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে।

এদিকে পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলম বলেন, পৌর কর পাচ বছর আগে যা ছিল, এখনো তাই আছে। তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় কর পুননির্ধারণ করা হয়েছে। এতে করে বার্ষিক মূল্যায়নের হার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে স্বাভাবিক নিয়মে করের মাত্রা একটু বাড়ছে। খাগড়াছড়ি পৌরসভা বিধি-বিধানকে অনুসরণ করে ক্রটিপূর্ণ কোন মূল্যায়ন থাকলে রিভিউ বোর্ডের মাধ্যমে সংশোধনী এনে জনগণের কাছে যাতে সহনীয় পর্যায়ে কর ধার্য্য করার চেষ্টা থাকবে।

Exit mobile version