parbattanews

খাগড়াছড়ি সদরে পাহাড় ধ্বসে চাপা পড়েছে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর, শতাধিক নারী-শিশু আশ্রয় কেন্দ্রে

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন স্থানে ফের ব্যপক পাহাড় ধ্বস দেখা দিয়েছে। বাড়ি-ঘর হারিয়ে ও জীবন রক্ষায় শতাধিক নারী-পুরুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। সন্ধ্যা নামার পর পাহাড় ধ্বসে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। প্রবল বর্ষণে সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি-মহালছড়ি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বর্ষণ অব্যাহত থাকায় চেঙ্গী, ফেনী ও মাইনী নদীর পানি বাড়ছে। অনেক জায়গায়  নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে প্রায় দুই সহ্রাধিক পরিবার। টানা চার দিনের টানা ভারী বর্ষষের কারণে আবারও পাহাড় ধ্বস দেখা দেওয়ায় প্রাণ হানির আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছে। সোমবার  বিকাল থেকে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের মোহাম্মদপুর ও শালবাগানে পাহাড় ধ্বসে বেশ কিছু ঘর-বাড়ি মাটি চাপা পড়েছে। এতে প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে।

সন্ধ্যা নাগাদ খাগড়াছড়ি জেলা সদরে শাল বাগানে অর্ধ শতাধিক, দীঘিনানায় ৪৫ ও মাটিরাঙায় ৩৩জনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত প্রশাসন লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া অভ্যাহত রেখেছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিশ শরমিন জানান, আশ্রয় কেন্দ্রগুলো আশ্রিতদের খাবারসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করছে প্রশাসন তাদের সরিয়ে নিচ্ছে। কেউ যেতে না চাইলে প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে পুলিশের মাধ্যমে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে য্ওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে বর্ষণে দু’দফায় পাহাড় ধ্বসে খাগড়াছড়িতে ৪জনের মৃত্যু ও ৯জন আহত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কিছু ঘরবাড়ি।

Exit mobile version