রাঙামাটি প্রতিনিধি:
পার্বত্য চট্টগ্রামে খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি বিধানে তিন পার্বত্য জেলায় কৃষি পরিকল্পনা চালু করার উদ্যোগ
নিয়েছে জাতিসংঘের এফএও নামের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা। এফএও নামের সংস্থাটি নিয়ে তিন পার্বত্য জেলায় সমালোচনার ঝড় বইছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (ফাও) কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন প্রকল্প চালু করার জন্য আজ শনিবার ফাওর বাংলাদেশে নিযুক্ত আবাসিক প্রতিনিধি মাইক রকসনসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট লোকজন রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট ১৪ মাইল নামক স্থানে ছ’মাস আগে নির্মিত একটি ব্রীজ পরিদর্শনে যান।
প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকাবাসী জানান, বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট ১৪ মাইল নামক স্থানে যে ব্রীজ ফাও নামের সংস্থাটি নির্মিত করেছে তা দু’পাহাড়ের মধ্যে- যা জনগণের কোন উপকারে আসবেনা। সংস্থাটি এখানে কাজ করছে নামেমাত্র। আসলে তারা জাতিসংঘের হাজার হাজার মিলিয়ন ডলার অপচয় করছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বড়ঋষি চাকমা জানান, এ ধরনের সংস্থা সাজেকে ঢুকে কী কাজ করছে তা আমার জানা নাই। তবে যদি সংস্থার কর্তৃপক্ষ আমার কার্যালয়ে আসে তা হলে বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেব।
অপর এক সূত্রে জানাযায়, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ফাও সংস্থাটি সাজেকে কৃষি ভিত্তিক উন্নয়ন খাদ্য নিরাপত্তা বিধানে যে প্রকল্প হাতে নিয়েছিল তা মধ্যে পাহাড়ে একটি বাঁধ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পায়নি
এলাকাবাসী। সাজেকবাসীর অভিযোগ, ফাও নামের সংস্থাটি পাহাড়ে লুটপাট ছাড়া আর কিছুই করছে না।
ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (ফাও) পার্বত্য এলাকার প্রান্তিক, অসহায়, দারিদ্রপীড়িত ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জুমচাষ, ফলজ বাগান, আদা-হলুদ চাষ, মাছ চাষ, হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু পালন, ত্রাণ ও বীজ বিতরণ, ক্ষুদ্র ও হস্থশিল্পসহ কৃষিভিত্তিক ব্যাপক প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে দাবী করেছে।