খানা-খন্দকে ভরে গেছে পর্যটন নগরীর সড়ক, ভোগান্তিতে জনগণ

 

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের সড়কের অবস্থা পর্যটন নগরীর উপযোগী নয়। শহরের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলি-গলিগুলো’র অবস্থা বেহাল। জায়গায় জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে খানা-খন্দকে। উঠে গেছে প্লাস্টার। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। যার ফলে লেগে আছে দীর্ঘ যানজট। আর ওসব সড়ক দিয়ে যাতায়তের সময় ভোগান্তির শেষ থাকছেনা পথচারী ও চালকদের। সাথে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বেড়াতে আসা পর্যটকদের। এটি পর্যটন নগরীর জন্য খুবই ক্ষতিকর বলে জানান, ভোক্তভূগী ও সচেতন লোকজন। এ সমস্যা সমাধানে মানবন্ধন চালাচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলন পরিষদ।

এদিকে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কের এই বেহাল অবস্থা। তবে খুব শীঘ্রই এসব সড়কের কাজ শুরু হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের কলাতলী থেকে শুরু করে বাংলাবাজারের কাছাকাছি পর্যন্ত একটু পর পরই সৃষ্টি হয়েছে গর্ত আর খানা খন্দক। এ অবস্থার কারণে যান চলাচলে মারাত্বক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানযটের আর নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে যানবাহন। শুধু তাই নয় এসব গর্তে জমে থাকা নোংরা পানির কারণে জামা নষ্ট হচ্ছে পথচারীদের।

এতে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা, গাড়ির চালক, হাসপাতালে যাওয়া রোগী ও পর্যটক সহ নানা শ্রেণি পেশার লোকজন। তারা বলছে পর্যটন নগরীর সড়ক এমন হওয়া কোনভাবে’ই উচিত নয়।

এ সমস্যা নিরসনে গত ২১ আগস্ট ‘সড়ক সংষ্কার ও যানযট মুক্ত নাগরিক বান্ধব পৌরসভা গড়ে তুলতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলন পরিষদ।

এ ব্যাপারে শহরের বাহারছড়া এলাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিহাব রানা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে শহরের সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। এতে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের আবেদন যাতে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংষ্কার করা হয়।

টমটম চালক সুলতান মিয়া জানান, এ পথ দিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে টমটমের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। দুই-তিন বার যাতায়াত করলে মেরামতের জন্য গ্যারেজে দিতে হয়। এছাড়া যাত্রীরাও খুব বিরক্ত হয়।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক বাপ্পী চৌধুরী জানান, গত ২ বছর আগে কক্সবাজার এসে সড়কের এ বেহাল অবস্থা দেখা যায়নি। এই বারে খুবই বিরক্ত লেগেছে যাতায়াত করতে গিয়ে। বিশেষ করে বার্মিজ মার্কেট এসে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। পর্যটন নগরীর এ অবস্থা কোনভাবে কাম্য নয়।

সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া রোগী সাইফুল ইসলাম জানান, তার ডান হাত ভেঙ্গে যাওয়া বাস টার্মিনাল থেকে টমটমে করে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। এসময় তার খুবই কষ্ট হচ্ছিল  গাড়ির ঝাঁকুনির কারণে। চালক অনেক আস্তে চালিয়েও রক্ষা পায়নি কারণ রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান জনান, অতিরিক্ত বৃষ্টি ও ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে সড়কগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর শহরের প্রধান সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধিনে। তাদের তাগাদা দেওয়ার পাশাপাশি পৌরসভার নিজস্ব সড়কগুলো দ্রুত সংষ্কার করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন