parbattanews

খুটাখালীতে বনবিভাগের অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ করতে উল্টো বসতঘর ভাংচুর নাটক

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের খুটাখালীতে বনবিভাগের অবৈধ কাঠ উদ্ধার অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ করতে বনখেকোর দল উল্টো বনবিভাগের বিরুদ্ধে বসতঘর ভাংচুরের অভিযোগ করেছে বলে জানা গেছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের অধীন ফুলছড়ি বিটের আওতাভুক্ত খুটাখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের লম্বা থলিতে বনবিভাগের জায়গা অবৈধ দখল করে ঘর নির্মাণ করে কতিপয় বনখেকো।সেখানে পার্শ্ববর্তী সামাজিক বনায়নের গাছ রাতের আঁধারে চুরি করে কেটে দীর্ঘদিন ধরে পাচার করে আসছিল কাঠ চোরের দল।

গত ২৩ অক্টোবর দুপুরে বনের চোরাইকৃত কাঠ ঘরে লুকিয়ে রাখার সংবাদ নিশ্চিত হয়ে ফুলছড়ি বিট কর্মকর্তা আকরাম আলী অত্র বনবিটের হেডম্যান ও ইসলামপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুস শুকুরসহ বনপ্রহরী নিয়ে অভিযানে বনবিভাগের লোকজন কয়েকটি ঘরে লুকিয়ে রাখা কাঠের স্তুপ উদ্ধার করে। এর মধ্যে মৃত হাজী মোহাম্মদ হোছাইনের ছেলে নুরুল হাকিমের ঝুপড়ি ঘর থেকেও কাঠ উদ্ধার করে বনবিটে নিয়ে আসে। অভিযান পরবর্তী সঙ্ঘবদ্ধ কাঠ চোরের দল বনদস্যুদের পরামর্শে বনবিভাগের অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নুরুল হাকিমের ঘরে অভিযানের নামে ভাঙচুরের অভিযোগ তোলে বন মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

অভিযান পরিচালনাকারী বিট কর্মকর্তা আকরাম আলী ও হেডম্যান – মেম্বার আব্দুস শুকুর জানান, অভিযানটি দিন দুপুরে জনসম্মুখে পরিচালিত হয়। নুরুল হাকিমের স্ত্রী সামসুন্নাহার বন খেকোদের কুপরামর্শে এসব নাটকীয় অভিযোগ তুলে বন কর্মকর্তাদের বেকায়দায় ফেলে বনের জায়গা কুক্ষিগত করতে এ অভিযোগ তুলেছে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে বসতঘর ভাঙচুর নাটকের প্রকৃত চিত্র। অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাকে এসব কাঠচোর ও বনখেকোদের বিরুদ্ধে তড়িৎ আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন রেঞ্জ কর্মকর্তা।

Exit mobile version