করোনায় কেমন কাটছে কাপ্তাইয়ের খেলোয়াড়দের জীবন যাপন

fec-image

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার মধ্যে ক্রীড়া ক্ষেত্রে কাপ্তাই উপজেলার জাতীয় পর্যায়ে বেশ সুনাম আছে। সাবেক জাতীয় দলের ফুটবল খেলোয়াড় চিংহ্লা মং মারি, আসলাম খান, এফআই কামাল, শাহাজউদ্দীন টিপু, বিপ্লব মারমা, পান্না নন্দী, বাবু খান, প্রয়াত অংচথোয়াই চৌধুরী, লড়াই খিয়াং‘সহ কাপ্তাইয়ের অনেক ফুটবলার জাতীয় পর্যায়ে অংশ নিয়ে কাপ্তাইয়ে জন্য গৌরব বয়ে এনেছেন।

এ ছাড়া সাবেক এ্যাথলেট সুব্রত বড়ুয়া, মংক্যসিং মারমা, ব্যাডমিন্টনে মাহাবুব হাসান বাবু, ক্রিকেটার নাঈমুর রহমান‘সহ অনেকে ক্রীড়া ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ের নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করেছেন।

কাপ্তাইয়ে বছরের প্রায় সময় বিভিন্ন খেলাধুলা আয়োজন হতো। উপজেলা সদর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম, কেপিএম সোনালী ব্যাংক মাঠ, কাপ্তাই পিডিবি স্কুল মাঠ, নারানগিরি প্রয়াত অংথোয়াইচিং চৌধুরী (অনন্ত) খেলার মাঠে খেলোয়াড়দের নৈপুণ্য উপভোগ করতে দর্শকরা তুমুল করতালিতে।

আবার অনেক খেলোয়াড়দের আয় রোজগারের একমাত্র পথ ছিল এই খেলাধুলা।

কিন্ত করোনার প্রকোপে বন্ধ এইসব খেলার মাঠ। বর্তমানে নেই কোন টুর্নামেন্ট। ফলে এই মাধ্যমে জড়িত অনেকে আজ বেকার বসে আছে।

কাপ্তাইয়ে কৃতি ফুটবলার বাবু খান, বেনু, সেন্টু, ডিকসন‘সহ অনেকে জানান, বিগত ৪ মাসেরও অধিক সময় আমরা খেলা হতে বঞ্চিত। করোনার প্রকোপে খেলোয়াড়রা এখন ঘরবন্দী।

কাপ্তাই উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক কৃতি ফুটবলার শাহাবুদ্দীন আজাদ জানান, ক্রীড়াক্ষেত্রে সমগ্র বাংলাদেশে কাপ্তাইয়ে একটা সুনাম আছে। এই উপজেলা হতে তৈরী হয়েছে শত শত ফুটবলার, ক্রিকেটার এবং এ্যাথলেট। কিন্ত করোনার প্রকোপে এখন নিষ্প্রাণ খেলার মাঠ।

কাপ্তাই উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বিদর্শন বড়ুয়া জানান, আমরা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে বছরব্যাপী বিভিন্ন টুর্নামেন্ট সচল রেখেছি। সবসময় মাঠে ফুটবল, ক্রিকেট, এ্যাথলেটিক্স, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করে আসছি।

এ ছাড়া ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে কৃতি খেলোয়াড় এবং কোচ মাহাবুব হাসান বাবুর তত্ত্বাবধানে প্রথমবারের মতো মাসব্যাপী মহিলাদের ফুটবল প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি।

কিন্ত করোনার প্রকোপে সব কিছু এখন বন্ধ। তবে করোনার প্রকোপ কমে গেলে আমরা আবারোও সচল রাখবো মাঠ সেইসাথে প্রথমবারের মতো আয়োজন করবো মহিলাদের নিয়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট।

কাপ্তাইয়ের কৃতি খেলোয়াড় কোচ ক্রীড়া সংস্থার  যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুব হাসান বাবু জানান, আমাদের কাপ্তাইয়ে প্রচুর সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় রয়েছে। কিন্ত পৃষ্টপোষকতার অভাবে তারা তাদের প্রতিভা তুলে ধরতে পারছে না। যদি সঠিক পৃষ্টপোষকতা পায় তাহলে কাপ্তাইয়ে ক্রীড়াক্ষেত্রে আবারোও হারানো গৌরব ফিরে আসা সম্ভব।

এই করোনাকালীন সময়ে সকলকে এসব খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, সংগঠক এবং কোচরা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কাপ্তাই, ক্রীড়া, ভলিবল
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন