parbattanews

গণধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল, দুই আসামি পলাতক

খাগড়াছড়িতে আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর প্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে ৫৯ কার্য দিবসে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।

শুক্রবার(১৮ ডিসেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি কোর্ট পরিদর্শক আব্দুল জব্বারের মাধ্যমে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম আপছার।

ঘটনার ৫৯ কার্যদিবসের মধ্যে দেশব্যাপী আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হলো। অভিযোগপত্রে মাটিরাঙা পৌরসভার ইসলাম নগরের বাসিন্দা মো. সাইদুর রহমানের ছেল সাইফুল আসলাম(৩০) ও গুইমারা উপজেলার পশ্চিম বড়পিলাকের বাসিন্দা মো. দুলাল আহম্মদের ছেলে ওমর ফারুক (২৪)নামে দুই আসামীকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

এ দিকে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের পরক্ষনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল আজিজ বলেন, মামলায় আসামীরা অজ্ঞাত হলেও পুলিশ মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘটনায় জড়িত ৯ আসামীকে চিহিৃত করে ৭ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। অপর দুই আসামীকেও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও জানান, গণধর্ষণের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে। ডাকাতির মামলাটি এখনো তদন্ত চলছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান, খাগড়াছড়ি সার্কেলের এএসপি জিনিয়া চাকমা, খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রশীদ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম আপছার।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম আপছার জানান, ২৫২ পৃষ্ঠার অভিযোপত্রে ২৬ জনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে। চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে মানুষ রূপী ৯ নর-পশু খাগড়াছড়ি জেলা শহরের বলপাইয়া আদাম এলাকায় বিন্দু লাল চাকমার ডাকাতির নামে তান্ডবলীলা চালায় । ৯ সদস্যের ডাকাত দলের সদস্যরা একটি কক্ষে নিয়ে তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে দলবেধে ধর্ষণ করে ও স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন সেট নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।

ধর্ষিতা মা ২৪ সেপ্টেম্বর বিকালে ৯ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ডাকাতির ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করেন। পুলিশ মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আসামীদের চিহিৃত করে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জেলার রামগড়ের মো. আমিন ওরফে নুরুল আমিন(৪০), দারোগা পাড়ার থেকে মো. অন্তর, জেলা সদরের কুমিল্লা টিলার মো. বেলাল হোসেন(২৩), গুইমারার বড় পিলাকের মো. ইকবাল হোসেন(২১) ও মো. শাহীন মিয়া(১৯), মাটিরাঙার আদর্শ গ্রামের মো. আব্দুল হালিম(২৮) এবং মুসলিম পাড়ার মো. আব্দুর রশীদকে গ্রেফতার করে ও ডাকাতির মালামালসহ ডাকাতির সময় ব্যবহৃত সিএনজি অটো রিক্সাটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত ৭ আসামীর মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। কিন্তু মামলার প্রধান আসামি মো. আমিন ওরফে নুরুল আমিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

Exit mobile version