স্থানীয়দের জমিতে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু পালন করছে রোহিঙ্গারা

fec-image

কক্সবাজারে গত দু’বছর ধরে অবস্থান করা রোহিঙ্গারা যেন স্থায়ীভাবে বসবাস করার বাসনা করেছে। তাদের দৈহিক আচরণ, কথাবার্তা, চালচলন ও বসবাসের ধরণ দেখে বোঝা যাবেনা এরা এদেশ থেকে চলে যেতে চায়।

উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ঘোনার পাড়া ক্যাম্প ১২ তে অবস্থিত রোহিঙ্গারা স্থানীয় মানুষদের জমিতে বাসস্থান নির্মাণ করা থেকে শুরু করে ক্ষেত, হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল পর্যন্ত লালন-পালন করছে।

দেখা গেছে, রোহিঙ্গারা এখানে তাদের বাসস্থান নিশ্চিত করার পর স্থানীয়দের জমির উপরে শাকসবজির ক্ষেত ও গবাদিপশু (হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল) পালন করা শুরু করেছে। জানা যায়, এই বিভিন্ন গবাদিপশু তারা বাইরে থেকে ক্রয় করে এনে পরে এগুলো ক্যাম্পে লালন-পালন করে।

এদিকে রোহিঙ্গাদের গরু-ছাগল পালনে স্থানীয়দের পশু পালনে খাদ্যের অভাব দেখা দিচ্ছে।রোহিঙ্গাদের বসবাসের ফলে সামাজিক বনায়ন উজাড় হওয়ায় গবাদিপশু লালন-পালন করার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গত দু’বছর ধরে পশু পালন নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিও রোহিঙ্গারা বাধাহীনভাবে গরু-ছাগল লালন-পালন করে চলেছে।

ঘোনারপাড়া ক্যাম্প ১২’র রোহিঙ্গা আরফাতকে জিজ্ঞেস করা হলে জবাবে বলে,”আমার একটি গরু ও কয়েকটি হাঁস আর মুরগি রয়েছে। এগুলো বাইরে থেকে কিনেছি। গরুটি গত কোরবানির ঈদে কেনা হয়েছিল। তখন প্রায় চল্লিশটি গরু একসাথে টেকনাফ গরুবাজার থেকে কেনা হয়। পরে ক্যাম্পে কোরবানির সময় প্রায় সব গরু বিক্রি করার পর একটি গরু বাড়ির জন্য রেখে দেওয়া হয়।”

স্থানীয় পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন,”রোহিঙ্গারা কোনোমতে বসবাস করার সুযোগ পাওয়ার পর স্থানীয়দের উপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করা শুরু করেছে। দিন যতই যাচ্ছে ততই স্থানীয়দের ভাবাচ্ছে এ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। এখন এই রোহিঙ্গা সংকট থেকে মুক্তি পেতে চান স্থানীয় জনগণ।”

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: গবাদিপশু পালন করছে রোহিঙ্গারা, স্থানীয়দের জমিতে
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন